নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁরা শুধু একে অপরের বিরোধী তাই না, দুই পরস্পর বিরোধী দলেরও জনপ্রতিনিধি। তবুও তাঁরা মঙ্গলবার বসলেন একাসনে। যোগ বলে কথা। তাই পাশাপাশি বসে দুইজনে সারলেন বেশ কিছু যোগাসন। ছবিও তুললেন দুইজনে বিস্তর। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন, একী শুধুই সৌজন্য নাকি আছে অন্য কিছু গপ্পো। মানে আরও কাছাকাছি, আরও কাছে এস। ওই দলবদলের গপ্পো। কে কোন দিকে ঝুঁকেছেন। শাসক দলের কাউন্সিলর বিরোধী পক্ষে যোগ দিচ্ছেন নাকি বিরোধী পক্ষের বিধায়ক শাসকের আশ্রয় খুঁজছেন! প্রশ্ন ঘুরছে দুর্গাপুর(Durgapur) জুড়ে। নজরে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি(BJP) বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই(Lakshman Ghoroi) ও দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল(TMC) কাউন্সিলর মানস রায়(Manas Roy)। আজ দুইজনে দুই ভাইয়ের মতোই পাশাপাশি বসে যোগাসন করেছেন কিনা তাই!
সামনেই দুর্গাপুর পুরনিগমের নির্বাচন। শোনা যাচ্ছে শাসক দলের বেশ কিছু কাউন্সিলর এবার আর টিকিট পাবেন না। আর তার জেরে ওই সব কাউন্সিলররা এখন জোর কদমে চেষ্টা চালাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের ঢুকে পড়ে সেখান থেকে ভোটে লড়ার টিকিট বাগাতে। আবার এটাও শোনা যাচ্ছে, বিজেপির বিধায়কদের অনেকেই এখন তলে তলে তৃণমূলে ঢোকার জন্য পা দিয়েছেন বাড়িয়ে। তাই প্রশ্ন এদিন কে ঠিক কোন পক্ষে যাওয়ার জন্য পাশাপাশি যোগাসন সারলেন। কাউন্সিলর বিজেপিতে যেতে চান, নাকি বিধায়ক তৃণমূলে যেতে চান, প্রশ্ন ঘুরছে দুর্গাপুরে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। তাই দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশডিহা তরুণ সংঘ ক্লাব আন্তর্জাতিক যোগা দিবসে ক্লাবের মাঠে কচিকাঁচাদের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের নিয়েও যোগা দিবসের এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাতেই আমন্ত্রণ জানানো হয় স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিধায়ককে। এস বসো যোগাসনে। এসেওছিলেন দুই জনপ্রতিনিধি। পাশাপাশি বসে সেরেছেন যোগাসন। সেই সঙ্গে বাতাসে ভাসিয়েছেন জল্পনাও।
শুধু জল্পনাই নয়, এদিন একে অপরকে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতিও। তৃণমূল কাউন্সিলরের উদ্যোগে একটি কংক্রিটের মঞ্চ তৈরিতে টাকা দিতে রাজি হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। কাউন্সিলর কথা দিলেন তিনিও বিধায়কের সুবিধা অসুবিধা দেখবেন। খোশ মেজাজে দুইজনে গপ্পো সারলেন। শহরের লোক অবশ্য অন্য কিছু জানতে চাইছে। কার পকেটে কত গেল!