নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। মালদার চাঁচল বিধানসভার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে কর্মীদেরকে বহিস্কার করা নিয়ে প্রকাশ্যে এলো গোষ্ঠী কোন্দল। গেরুয়া শিবিরের মালদা জেলার নেতৃত্বের একাংশের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে নেতাকর্মীদের। আর যা নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত উত্তর মালদার সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বুধবার। নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য মালদার চাঁচল বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে। কিন্তু এদিন সেই গ্রুপ থেকে একের পর এক নেতাকর্মীদের রিমুভ করা শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ আসল বিজেপি কর্মীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাঁচল ১২ নম্বর জেলা পরিষদের মন্ডল সম্পাদক সমীক পান্ডে অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে দেখলাম একজন পদাধিকারী ওই গ্রুপ থেকে বিজেপি কর্মীদের রিমুভ করেছেন’। বিজেপি কর্মীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
তবে যার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের গ্রুপ থেকে বহিস্কার করার অভিযোগ উঠেছে সেই বিজেপি নেতা মৃগাঙ্ক দাসের দাবি, এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। যদিও এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরের ভিতরের কলহকে বাইরে এনে দিয়েছে। আর এনিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিজেপির এই অন্তঃকলহকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘বিজেপির যা অবস্থা দেখা যাবে ওদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অ্যাডমিন রিমুভ হয়ে যাবে। পশ্চিমবাংলা রাজনীতিতে বিজেপি অচল এটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।’