নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে ‘মাওবাদী’ নামাঙ্কিত পোস্টার। এর ফলে জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বুধবার নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে সাংবাদিকদের সামনে সেই মাও আতঙ্ক খারিজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধা্নের দাবি এই পোস্টারের মাধ্যমে মাও আতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে কাজ করছে বিজেপি।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাও পোস্টার উদ্ধার হওয়া নিয়ে সরব হন। এদিন মাওবাদী পোস্টারের বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক ও এসপির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাও-পোস্টার সম্পর্কে তাঁদের কাছে বিস্তারিত জানতে যান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন “কোথাও কোথাও একটা দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিচ্ছে। সেটাকে নিয়েই মাওবাদী মাওবাদী উত্তেজনা করা হচ্ছে। সবটাই পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে। পুলিশকে জঙ্গলমহলে আরও সক্রিয় হতে হবে।” ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ও এসপির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্টার সম্পর্কে তাঁদের কাছে বিস্তারিত জানতে যান তিনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি মাও-হামলার আশঙ্কা মাথাচড়া দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মাওবাদীদের ঠেকাতে চার রাজ্যের মুখ্যসচিব মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠক করে। বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মুখ্যসচিবরা উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বিশেষ নজর রাখবে রাজ্য। তথ্য এসেছে, সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে ঢুকতে চাইছে মাওবাদীরা। সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ওই সংগঠন। তাই আরও নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া (Purulia)-সহ গোটা জঙ্গলমহল। ইতিমধ্যে বহু মাওবাদী সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। তাঁদের জন্য চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ও এসপির তরফে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, মাওবাদীদের নামে পোস্টার উদ্ধার হলেও মাওবাদীদের কোনও কার্যকলাপ জঙ্গলমহলে নেই। বুধবার বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি খুব শীঘ্রই জঙ্গলমহলে যাবেন। আরও মাওবাদীর চাকরি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান এদিন।