নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা ২১ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে মহিলার মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হল। শনিবার মধ্যমগ্রামে দেহ উদ্ধারের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম তপতী হালদার। ৪৫ বছর বয়স তাঁর। মধ্যমগ্রাম পুরসভার মধ্যমগ্রামের আইস বাগান এলাকার বাসিন্দা তিনি। প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান তপতী দেবী। সেই থেকে তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন তাঁর ছেলে। কিন্তু তার পরেও তপতী দেবীর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মধ্যমগ্রাম থানায় মিসিং ডায়েরি দায়ের করেছিলেন তপতী হালদারের ছেলে পার্থ হালদার। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। বহু খোঁজাখুঁজি করার পরেও কোনও কিনারা করতে পারেনি তদন্তকারীরা। এদিকে মহিলার হদিশ না পাওয়ায় ভেঙে পড়েছিল তাঁর পরিবার। চিন্তা ও আশঙ্কাকে সঙ্গী করে দিন কাটছিল তাঁদের। অবশেষে শনিবার সকালে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রিজিয়াভাটা এলাকায় তপতী দেবীর মুন্ডু কাটা অবস্থায় পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে এদিন মধ্যমগ্রাম থানায় এই ঘটনার খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান তদন্তকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলামও। অন্যদিকে তপতী দেবীর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। কীভাবে ওই মহিলা নিখোঁজ হলেন, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। যদি খুন হয়ে থাকেন, তবে কে কোন উদ্দেশ্যে তাঁকে খুন করল, তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।