-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:51 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়। সেই ভাঙড় থেকে ফের উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাঙড়ের ডামজুলি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে হানা দেয় পুলিশ। ভাঙড়ের ডামজুলি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১৭টি তাজা বোমা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বোমা উদ্ধারের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির সামগ্রীও। তবে কারা এই বোমা মজুত করে রেখেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হামলা চালানোর জন্য বোমাগুলি মজুত করেছিল দুষ্কৃতীরা।
উল্লেখ্য এর আগে ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুরে চাষের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেই সময় অভিযোগ করা হয়েছিল আইএসএফ কর্মীরা বোমা এবং বন্দুক নিয়ে এই মাঠেই বসেছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) কর্মীদের ওপরে ভায়াবহ আক্রমণ চালানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল। যদিও জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
প্রসঙ্গত গত ২১ জানুয়ারি তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনার পর ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে বহু আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিনের ছবি ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশিপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে। সেই তল্লাশি অভিযানে নেমে কাশিপুর থানা এলাকার সাতুলিয়া, নাংলা এবং আলাকুলিয়া থেকে তিন জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় সমাবেশ ছিল আইএসএফ এর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে সেই সমাবেশে আসার পথে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। পরে ওইদিন ধর্মতলায় সমাবেশ থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ দলের ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাঁদেরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আইএসএফ কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।