এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘অপা’র মহিমায় মাথায় হাত ঝর্ণা-নিখিলের

নিজস্ব প্রতিনিধি: মলিক-মালকিন জেলে। কে মাইনে দেবে? কীভাবেই সংসার চলবে? বাড়িটাতেই বা কতদিন থাকা যাবে? উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। যদিও সেই উত্তর দেওয়ার কেউ নেই। কার্যত নিজেদের ভাগ্যের হাতে সঁপে দিয়েছেন দুইজনে। তবে তাঁরা এটাও ঠিক করে রেখেছেন আদালতের নির্দেশ বা পুলিশের নির্দেশ ভিন্ন তাঁরা বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না। বাড়ি মানে ‘অপা’(Apa)। বীরভূম জেলার বোলপুরের(Bolpur) শান্তিনিকেতনের আশেপাশে গোটা ৬-৭ বাড়ির দিকে নজর রয়েছে ইডির। কেননা এই বাড়ির গুলির মালিক হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay), নাহয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukhopadhay), কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার যৌথ মালিকানা সত্ত্ব। সেই সব বাড়ির মধ্যেই আছে ‘অপা’ নামের বাড়ি যা এখন শান্তিনিকেতনে যাওয়া পর্যটকদের কাছে রীতিমত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিত্যদিন সেখানে সেলফি তুলতে, ফটো তুলতে হাজির হচ্ছেন পর্যটকেরা। সেই ‘অপা’র ঠিক পিছনেই একটি বাড়িতে থাকেন বাড়িটির কেয়ারটেকার দম্পতি নিখিল দাস ও ঝর্ণা দাস। পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতারতে তাঁদের জীবনেই নেমে এসেছে অনিশ্চয়তার অন্ধকার।

বোলপুরের ফুলডাঙা(Phuldanga) এলাকায় রয়েছে পার্থ-অর্পিতার বাড়ি ‘অপা’। একটু নির্জন এলাকায় গড়ে তোলা এই বাড়ি এখন রাতারাতি দ্রষ্টব্য হয়ে উঠেছে বোলপুরের বুকে। অনেকেই এখন এই বাড়ি দেখতে হেসে কটাক্ষ হানছেন, ‘পার্থ অর্পিতার প্রেমের সৌধ’ বলে। আবার কী কেউ বলছেন, বাড়ির নামেই একাকার হয়ে গিয়েছেন দুইজনে। কেননা দু’জনের নামের আদ্যঅক্ষর নিয়ে বাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘অপা’। এসব এখন রোজ দেখছেন, শুনছেন নিখিল আর ঝর্ণা। কিন্তু মুখ ফুটে কোনও উত্তর তাঁরা দিতে পারছেন না। গত ছ’ বছর ধরে তাঁরা রয়েছেন ‘অপা’তে। তাঁদের নিজেদের বাড়ি কঙ্কালীতলায়। ‘অপা’র কেয়ারটেকার হিসাবে এই দম্পতিকে কিন্তু খুন কম মাইনেতে রেখে দিয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। মাসে দিতেন মাত্র ৪ হাজার টাকা। সঙ্গে দুর্গাপুজোয় বোনাস ও একটি শাড়ি। এত কম টাকায় বেঁচে থাকা যায় না। তাই ২ হাজার টাকার দিনমজুরিতে অন্য একটি বাগানের কাজ করেন নিখিল। কোমরে আঘাত থাকায় ভারী কাজ করতে পারেন না তিনি। আর কিছুটা আয় হয় ‘অপা’র বাগানে শাক চাষ করে।

পার্থ-অর্পিতা জেলে যেতেই কিন্তু অনিশ্চিত হয়েছে তাঁদের রুটিরুজি। মাইনের ৪ হাজার টাকা কে দেবে বা তাঁরা আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়েও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মেঘ দানা বেঁধেছে। তবে নিখিল আর ঝর্ণা ঠিক করে রেখেছেন, কেউ বাড়ি থেকে জোর করে চলে যেতে না বললে তাঁরা যাবেন না। প্রয়োজনে আধপেটা খেয়েও ‘অপা’তেই থাকবেন তাঁরা। তবে সংবাদমাধ্যমকে নিখিল আর ঝর্ণা জানিয়েছেন, এই বাড়ির মালিক অর্পিতা। পার্থকে কোনওদিনই তাঁরা এই বাড়িওতে আসতে দেখেননি। ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের দুইজনকে। কিন্তু এখন তাঁদের সব থেকে বড় চিন্তা আগামী দিন কীভাবে চলবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর