এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কান্দু খুনের চার্জশিটে নাম নেই আইসি’র, বাদ তৃণমূলও

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়সড় স্বস্তি নেমে এল তৃণমূলে(TMC), স্বস্তি রাজ্য পুলিশ প্রশাসনেও। পুরুলিয়া(Purulia) জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চারবারের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) গত ১৩ মার্চ খুন হন দুষ্কৃতীদের হাতে। সেই খুনের ঘটনার পিছনে উঠে এসেছিল ঝালদা পুরসভার ক্ষমতা দখলের বিষয়য়। কেননা ১২টি ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভায় ৫টি করে আসন জিতেছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল ২ নির্দল প্রার্থী। এই দুইজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে কংগ্রেস বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল। কার্যত চেয়ারম্যান হওয়ার পথে অনেকতাই এগিয়ে গিয়েছিলেন তপনবাবু। কিন্তু সেই বোর্ড গঠন বা চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই খুন হয়ে যান তিনি। আর তার জেরেই অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল এবং ঝালদা থানার আইসির(IC) বিরুদ্ধে। কিন্তু সোমবার সিবিআই(CBI) পুরুলিয়া জেলা আদালতে তাঁদের তদন্তের প্রথম যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে ঝালদা থানার বিতর্কিত আইসি বা তৃণমূলের কোনও নেতার নাম নেই বলেই জানা গিয়েছে।

তপনবাবু খুন হওয়ার পরে তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ তুলেছিলেন তপনবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। তাঁদের অভিযোগ ছিল, আইসি তৃণমূলের হয়ে বোর্ড গঠনের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। সেই সূত্রেই তিনি তপনবাবুকে ফোন করেছিলেন ও তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তাতে তপনবাবু রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করিয়ে দেওয়া হয়। ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও রাজ্য সরকার সঞ্জীববাবুর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরঞ্চ তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে সিট গঠন করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সিটের হাতেই একে একে গ্রেফতার হয় তপনবাবুর দাদা নরেন কান্দু, তার ছেলে দীপক কান্দু, সুপারি কিলার কলেবর সিং, ব্যবসায়ী সত্যবান প্রামাণিক এবং আসিক খান। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার নেয়। তপনবাবুর মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খুনের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী নিরঞ্জন বৈষ্ণবও অস্বাভাবিক ভাবে মারা যান। সেই মৃত্যুর তদন্তের দায়ভারও চাপে সিবিআইয়ের হাতে।

কিন্তু সোমবার সিবিআই তাঁদের তদন্তের যে প্রাথমিক চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে নাম নেই ঝালদা থানার আইসি বা তৃণমূলের কোনও নেতার। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। ৩০ পাতার ওই চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে তপনবাবুর খুনের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও নেতা বা থানার আইসির জড়িত থাকার কোনও সূত্র মেলেনি। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় তপনবাবুর দাদা নরেন কান্দু ও দীপক কান্দু সহ মোট পাঁচজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বিস্তর। তবে সিবিআই এখনও আরও তদন্ত চালাতে চায় বলেই জানা গিয়েছে। চার্জশিটে ৫জনের বিরুদ্ধে খুন ও খুনের ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডে ধৃত কলেবর সিংয়ের সঙ্গে আরও যে দু’জন দুষ্কৃতীর বাইকে আসার অভিযোগ শোনা গিয়েছিল তাদের নিয়েও চার্জশিটে কিছু বলা হয়নি বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এই ঘটনায় কার্যত প্রমাণিত হয়ে গেল তৃণমূল বা পুলিশের ষড়যন্ত্রে খুন হননি তপনবাবু। পরিবর্তে পারিবারিক বিবাদের জেরেই তিনি খুন হয়েছেন এটাই প্রতিষ্ঠা পেল। গোটা ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ল বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর