নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছিল দীর্ঘ প্রায় ৩০ ঘন্টা। তারপর ঝালদায় এসে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। আর তা নিয়েই স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয়েছিল ক্ষোভ। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, মঙ্গলবারেই শুরু করা হয়েছে তদন্ত। এই নিয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামেরুগান জানিয়েছেন, তিনি সিবিআই- এর চিঠি গ্রহণ করেছেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তপন কান্দু খুনের বিষয়ে কথা বলবেন জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে।
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিবিআই- এর যোগাযোগ হয়নি। তবে তিনি এও বলেছিলেন, তিনি শুনেছেন পুলিশ সুপারের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাগজ নিয়ে আসবে বুধবার। প্রসঙ্গত, কাউন্সিলর পূর্ণিমা প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্ত। তাঁর মূল অভিযোগ, ওসি (OC) সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থও হন তিনি। আদালত রায় দেয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে ঝালদা কাণ্ডের। জেলা পুলিশ এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করেছিল নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুকে। পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক বিবাদ থেকেই এই খুন।
পূর্ণিমা আশাবাদী হয়ে বলেন, সিবিআই মূল অপরাধীকে ধরবে ও বেরিয়ে আসবে খুনের পেছনে আসল কারণ। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তিও চেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ ঝালদা থানায় এসেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (SP) ও তদন্তকারীদলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার ঝালদা পুরসভায় হয়েছে বোর্ড গঠন। সেই প্রতিবাদে বুধবার ঝালদায় বনধ ডেকেছে কংগ্রেস। বনধে এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে মিশ্র প্রভাব।