নিসর্গ নির্যাস মাহাতো: ‘যত মত তত পথ’ শিখিয়েছিলেন তিনিই। তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব (RAMAKRISHNA)। পুজোপাঠ, বাইবেল, নামাজ কিছুই বাদ দেননি তিনি। তাঁর মতে আলাদা আলাদা ধর্ম আসলে ঈশ্বর লাভের ভিন্ন ভিন্ন পথ। তিনি চাইতেন সমন্বয়। বড়দিন (CHRISTMAS) উপলক্ষ্যে বেলুড়মঠ সহ রামকৃষ্ণ মিশনগুলি ভরে ওঠে ক্যারলের সুরে।
মঠগুলিতে রাখা হয় মা মেরির কোলে যীশু (JESUS), যীশু খ্রিস্টের জন্মগ্রহণ মুহূর্ত বা যীশুর ছবি। ফুল ও মালায় সাজানো হয়। নিবেদন করা হয় চকোলেট, কেক এবং বিভিন্ন রকমের শরবত। পাঠ করা হয় বাইবেল। আর চত্ত্বর ভরে ওঠে ক্যারলের সুরে। মোমবাতি রাখা হয় যীশুর প্রতিকৃতির কাছে। ২৪ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয় বিশেষ এই অনুষ্ঠান।
জনশ্রুতি, ভক্ত যদু মল্লিকের বৈঠকখানায় মা মেরির কোলে শিশু যীশুর ছবি দেখে বিভোর হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরে একদিন শম্ভু মল্লিকের বাড়িতে যীশুর জীবনী এবং বাইবেল পাঠ শুনেছিলেন।
শোনা যায়, ১৮৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর (সম্ভবত) হুগলি জেলার আটপুরে প্রেমানন্দ মহারাজ (বাবুরাম)- এর বাড়ির বাগানে ধূনি জ্বালিয়ে যীশু খ্রিস্টের জীবনী শুনিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ (SWAMI VIVEKANANDA)। পাঠ করেছিলেন বাইবেল।
রামকৃষ্ণ মতাদর্শে কোনও ধর্মের সঙ্গেই বিরোধ থাকা উচিৎ নয়। বরং সার খুঁজে চলাই সত্য। তিনি মনে করতেন, সকল ‘ওপরওয়ালা’ আসলে এক।