নিজস্ব প্রতিনিধি: এগরা (EGRA) বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। ৮০ শতাংশ পোড়া অবস্থাতেই গা ঢাকা দিয়ে সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে ওড়িশা চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু হয়েছে গত শুক্রবার। তবে সিআইডি’র হাতে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্তের জামাই।
রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছিল ওড়িশার কটকের রুদ্র হাসপাতালে নাম ভাঁড়িয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু। গত বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর বয়ান রেকর্ড করার চেষ্টা করেন আধিকারিকরা। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসাধীন থাকার জন্য তাঁর সম্পূর্ণ বয়ান রেকর্ড করা যায়নি। কিছুটা বয়ান রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখ্য, মৃত্যু হয়েছে ভানুর।
সিআইডি সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের স্ত্রী গীতা বাগের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাঁকেও জেরা করা হবে। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ভানুর জামাই নিশিকান্ত পালকে। তাঁকে ধরা হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বরের কামারদা থানা এলাকার মহাগোপ গ্রাম থেকে। ওই থানাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিয়ে আসা হবে।
সূত্রের খবর, বাজি কারখানার অন্যতম মাথা ছিলেন গীতা। বাজি কারবার চলত ওড়িশায়। তিনি জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। জামাই তাঁকে লুকিয়ে রেখেছেন।