নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসকেএমে আহত ট্রেনযাত্রীদের দেখতে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন দ্বিতীয় হুগলি সেতু টোল প্লাজায়। বালাশোর দুর্ঘটনায় মৃত ৪ জনের মরদেহে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ দেগে। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে রেল দুর্ঘটনার তদন্ত থেকে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গ।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা ২ সন্তানকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইডি’র পুরানো লুকআউট নোটিশ দেখিয়ে তাঁকে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। ফিরে আসেন রুজিরা। এরপর ইডি’র ‘তলব-নোটিশ’ যায় বাড়িতে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রুজিরাকে আটকানো অমানবিক’। তাঁর দাবি, মৃত্যুমিছিলের মাঝে দানবীয় কাজ করছে ইডি। বলেন, বাড়ির খুদে সদস্য অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার জন্যই দুবাই যাচ্ছিলেন রুজিরা।
এদিন তিনি মুখ খোলেন করমণ্ডল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়েও। বলেন, গাফিলতি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সত্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল তিনি কটক ও ভুবনেশ্বর যাবেন আহতদের দেখতে। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, নিহত এবং অঙ্গহানি হয়েছে এমন পরিবারের একজন করে সদস্য পাবেন হোমগার্ডের চাকরি।