এই মুহূর্তে




১৬ ঘণ্টা ধরে অকেজো কমিশনের অ্যাপ, চরম ভোগান্তি বিএলওদের

নিজস্ব প্রতিনিধি: SIR-এর কাজে চরম ভোগান্তি বিএলওদের। ১৬ ঘণ্টা ধরে অকেজো কমিশনের অ্যাপ। ডেটা এন্ট্রির কাজে চরম হয়রানির অভিযোগ উঠল। কলকাতার নিউটাউনে ডেটা এন্ট্রি করাই যাচ্ছে না। কমিশনে জানিয়েও হয়নি সুরাহা। অভিযোগ বিএলওদের একাংশের।

প্রসঙ্গত, SIR-এর অতিরিক্ত চাপে পথে নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে BLO অধিকার রক্ষা কমিটি। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পথে নেমে তাদের দাবি SIR হোক, কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ফর্ম বিলি করে বাড়িতে আসার পরেও তাঁদের কাছে ফোন আসছে বিবিধ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। এ এক মানসিক যন্ত্রণা। BLO রা বলছেন এই SIR এর কাজ এত কম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় দরকার। এত পরিমাণ কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যই খারাপ হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, SIR আতঙ্ক অব্যাহত। বিশেষ নিবিড় সংশোধনের মূল পর্ব শুরু হতেই রাজ্যে নানা প্রান্ত থেকে এসেছে একের পর এক মৃত্যুর খবর। তৃণমূলের দাবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সব মৃত্যুর নেপথ্যে কাজ করছে SIR আতঙ্ক। বিজেপির আবার বক্তব্য এখন সাধারণ রোগে মৃত্যু হলেও সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে SIR তত্ত্ব।

SIR নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও বিএলওর অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন কে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। কড়া ভাষায় তিনি লিখেছিলেন, চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) ঘিরে পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাই আমি আপনাকে এই চিঠি লিখতে বাধ্য হচ্ছি। বিএলও এবং নাগরিকদের উপর যেভাবে এই অনুশীলন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা কেবল অপরিকল্পিত এবং বিশৃঙ্খলই নয়, বিপজ্জনকও। যথাযথ মৌলিক প্রস্তুতি, পর্যাপ্ত পরিকল্পনা বা স্পষ্ট যোগাযোগের অভাব প্রথম দিন থেকেই এই প্রক্রিয়াটিকে পঙ্গু করে তুলেছিল।”

বিএলওদের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “প্রশিক্ষণে গুরুতর ফাঁক, বাধ্যতামূলক নথিপত্রের স্পষ্টতার অভাব এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের সময়সূচীর মাঝে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করার প্রায় অসম্ভবতা এই প্রক্রিয়াটিকে কাঠামোগতভাবে দুর্বল করে তুলেছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করব জোর করে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য। দয়া করে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান করে এবং সময়সীমা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনর্মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিন। যদি এখুনি এই পন্থা সংশোধন না করা হয়, তাহলে বিএলও এবং নাগরিকদের জন্য পরিণতি মারাত্মক হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোর অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য এই হস্তক্ষেপ কেবল প্রয়োজনীয় নয় বরং অপরিহার্য।”

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বালিতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, SSKM হাসপাতালে স্থিতিশীল

বাঁকড়াতে মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়, প্রতিবন্দী ছেলে অসহায় হয়ে বসে আছে নিচে

সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে বাড়ছে মদের দাম

মালদা অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে,সরানো হল জেলার এসপি’কে

২০২৬ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন, পুজোয় টানা ১২ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারিরা

১০ জেলার পুলিশ সুপার সহ ১৭৫ জন ইন্সপেক্টরকে আচমকা বদলি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ