-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:45 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: শতাধিক বছরের পুরাতন জাতীয় কংগ্রেসের(INC) মাথা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড় করাতে জোট রাজনীতিতে জোর দিতে চান। কংরেস সূত্রেই জানা গিয়েছে, সেই কারণেই তিনি বাংলার মাটিতে তৃণমূলের হাত ধরতেও চান। কিন্তু বাংলার মাটিতে সেই কংগ্রেসকেই গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালাতে হল জাঙ্গিপাড়া(Jangipara) ছেড়ে। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হুগলি(Hooghly) জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জাঙ্গীপাড়া থানার শ্রীহট্ট(Sreehatta) গ্রামে। এই গ্রামেরই এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গ্রামের পরিবেশ। অভিযোগ, ১২ বছরের ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে উঠতে পারেনি পুলিশ।
দশমীর রাতে বাড়ি থেকেই সাইকেল নিয়ে বার হয়েছিল ওই কিশোরী। কিন্তু রাতে আর সে বাড়ি না ফেরায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার গ্রামেরই একটি ঝিল থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও এখনও তার সাইকেলের কোনও সন্ধান মেলেনি। কিশোরীর পরিবার ও গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, গণধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। যদিও পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিন সেই গ্রামে ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ওই প্রতিনিধিদলকে গ্রামেই ঢুকতে দেয়নি গ্রামবাসীদের একাংশ। ১২জনের ওই প্রতিনিধিদলকে তাঁদের দেখামাত্র ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা ওই প্রতিনিধি দলটিকে তাড়া করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে গ্রামে ঢুকতে পারেননি কংগ্রেসের ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চান না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘ঘটনার সময় কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি। এখন ওরা লাশের রাজনীতি করতে এসেছে। এখানে রাজনীতি করা যাবে না। আমরা বিচার চাই। কোনও পার্টি এখানে এলে হবে না। যে আসবে তাকে মেরে থেঁতো করে দেব। আজ লক্ষ্মীপুজো। অথচ ঘরের লক্ষ্মী চলে গিয়েছে। গ্রামের মহিলারা ক্ষেপে গিয়েছে।’ শেষ পর্যন্ত রীতিমত পুলিশি প্রহরায় গ্রাম ছাড়েন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলে থাকা উত্তরপাড়ার কংগ্রেস কাউন্সিলর কামাক্ষ্যা সিংহ বলেন, ‘ওদের জন্য আমরা এসেছিলাম। কিন্তু মানুষকে আমরা বোঝাতে পারিনি।’ এই ঘটনার জেরে জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনকে বলা হয়েছে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করতে হবে। আইনত চরমতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিরোধী দল আসতেই পারে। কিন্তু অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। বিরোধী দল একটা মিথ্যার রাজনীতি করবে সেটা গ্রামবাসীরা মানবেন কেন? কারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে পাশে আছেন তা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বলেও হয়তো বাধা দিয়েছেন।’