নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর কিছু দিন আগেই UNESCO’র তরফ থেকে শান্তিনিকেতনকে World Heritage Site’র তকমা দেওয়া হয়। সেই স্বীকৃতির পর, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) ক্যাম্পাসে ৩টি ফলক বসায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(Rabindranath Tagore) নাম ব্রাত্য রাখা হয়। এই ঘটনায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সেই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পরেরদিন থেকে তাঁর নির্দেশেই শান্তিনিকেতনের কবিগুরু হস্তশিল্প কেন্দ্রের সামনে আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ফের একবার তিনি সরব হলেন বিশ্বভারতীর বিতর্কিত স্মারকফলক এখনই সরানোর দাবি জানিয়ে।
একাধিকবার আপত্তি জানানো, আন্দোলনের পরও বিতর্কিত ফলক এখনও সরায়নি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ফের তা সরানোর পক্ষে সাওয়াল করেছেন। ওই ফলককে আত্মপ্রচারমূলক এবং অহঙ্কারী বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রকেও ভুল শুধরে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘কবিগুরুকে ভুলে আত্মপ্রচারমূলক, অহংকারী প্রচার চলছে বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনকে সম্মান দিয়েছে UNESCO। কিন্তু বর্তমানে সেখানকার প্রধান কবিগুরুক অবদান ভুলে নিজের নামের প্রচার চালাচ্ছেন। ঈশ্বরের দোহাই, ওই ফলক সরিয়ে ফেলুন যেখানে কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়েছে। সামান্য মানবিকতা দেখান। সম্মান করুন।’ একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে তাঁর আর্জি, এই চরম ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করুক দিল্লিতে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার।