নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজ রাষ্ট্রে পরবাসী! বেঙ্গালুরুতে দিনমজুরের কাজে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হয়ে সন্তান নিয়ে জেলেই দিন কাটছে বাংলার এক দম্পতি ও তাদের শিশু-সন্তানের। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর ভারথুর (varthur) থানা এলাকার সুলিবেলে গ্রামে কাজে গিয়েছিলেন। বাংলাভাষী হওয়ায় সেখানেই তাঁদেরকে বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অধীনস্থ একটি রাজ্য, যেখানে সিংহভাগ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। ভারতের সংবিধান দেশের নাগরিককে ভারতের সব রাজ্যে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার দিয়েছে। অথচ বেঙ্গালুরু গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে পচতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দম্পতি ও তাঁদের শিশুকে! এমনটাই অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা। ভারথুর (varthur) থানার সুলিবেলে গ্রামের কায়েন খানের ডেরায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাংলাদেশি সন্দেহে সেখান থেকে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
অভিযোগ, গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে বারাবার দরবার করেও মুক্তি মেলেনি। তাঁরা বাংলার বাসিন্দা এই দাবি করার পর বেঙ্গালুরু পুলিশ তদন্তে বর্ধমানে আসে। ওই দম্পতি ভারতের বাসিন্দা কিনা তা জামালপুরে এসে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পলাশ ও শুক্লার আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামে। দিনমজুরের কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন পলাশ ও তাঁর পরিবারের সবাই। গত জুন মাসে পলাশ তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে কর্নাটকে কাজে যান। পলাশের সঙ্গে কাজে যান তাঁর বাবা পঙ্কজ অধিকারী এবং মা সবিতাদেবীও। সেখানে পলাশের বাবা মা-সহ পরিবারের সবাইকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পলাশের বাবা মাকে ছেড়ে দিলেও দম্পতি ও শিশু এখনও জেলবন্দি। তাঁদের পথ চেয়ে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।