নিজস্ব প্রতিনিধি: গরম পড়লেই জল সঙ্কট তীব্র হয়ে ওঠে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পরিস্রুত পানীয় জলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দা জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু কল দিয়ে জল পড়ছে বটে। তবে সেখানে লম্বা লাইন। জল নেওয়ার জন্য ভোর থেকেই লাইন দিতে হয়। বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা সমস্ত কাজই থমকে রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল জলাধার বা কলগুলি। বর্তমানে সেগুলির বেশিরভাগই প্রায় অকেজো বা পরিত্যক্ত। সেই কলগুলিকে সংস্কার করা হয়নি বলে বাসিন্দাদের দাবি। প্রশাসনের উদ্যোগে পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে কাজ সম্পূর্ন হয়েছে সেখানেও জল মিলছে না বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা দাস, পূর্ণিমা সাহারা জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছে গিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু হরিশ্চন্দ্রপুর সদর। আমরা আশে-পাশের বিভিন্ন বাড়ি থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছি। কিন্তু মাসে দশ পনেরো দিন এই পরিস্রুত পানীয় জলও সরবরাহ করা হয় না। এই চরম গরমে আমরা প্রবল জল কষ্টে ভুগছি। হরিশ্চন্দ্রপুরে পানীয় জলের সমস্যা প্রসঙ্গে পিএইচই দফতরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কিছু সমস্যা আছে। লোকসংখ্যা বেড়েছে। আরো বেশ কিছু প্রকল্প ধরা হয়েছে। পুরোনো প্রকল্প নতুন মেরামতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শুরু জয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। হরিশচন্দ্রপুরের বিজেপি নেতা রূপেশ আগারওয়াল শাসকদলকে বিঁধে বলেন, ‘সদর এলাকা থেকে শাসকদলের ঝুলিতে ভোট না মেলায় বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।’ অন্যদিকে তৃণমুল নেতা তাজামুল হোসেন বলেন, ‘বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে ভুলভাল বকছে বিজেপি। ২০২৪ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ কল বসে যাবে বলে জানান তিনি।’