নিজস্ব প্রতিনিধি: বানভাসি ঘাটাল। কখনও অতিবৃষ্টি আবার কখনও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় ঘাটাল। দক্ষিণবঙ্গে পুজোর আগে প্রবল বৃষ্টির জেরে ফের বানভাসি হয়েছে ঘাটালে। তাই সোমবার নিজের সংসদীয় এলাকার তিনটি জায়গা ঘুরে দেখেছেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। সবং, ডেবরা ও পিংলা গিয়েছিলেন সাংসদ। প্রথমে সবংয়ের চাউলকুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের এরাল এলাকায় যান তিনি। সেখান থেকে পিংলা তারপর ডেবরার সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেবাগেড়িয়ায় ঘুরে দেখেন দেব। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি করেন আর্থিক সাহায্যও।
ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী জানান, ‘রাজনীতির কথা ভুলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। মাঝে-মধ্যে অভিযোগ আসছে দু-একজন ত্রাণ পাচ্ছেন না। যাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন না তাঁদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেউ ত্রাণ না পেলে তড়িঘড়ি এলাকার দলীয় কর্মীদের জানান তারাই ব্যবস্থা করে দেবে। বৃষ্টির জল কমলে প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি নির্মাণের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে।’ অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ন এলাকা। নতুন করে বৃষ্টি না হলেও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কপালেশ্বরী ও কেলেঘাই। এই দুই নদীর জলে প্লাবিত গোটা গ্রাম।
চলতি বছরে এই নিয়ে তিনবারের জন্য জলের তলায় ঘাটাল এলাকা। কিন্তু এর জন্য কেন্দ্রকেই বারবার দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ-অভিনেতা দেব বারবার জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে তবেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে ও এখানকার জল সমস্যার সমাধান হবে।’