এই মুহূর্তে




ধান্যকুড়িয়ার সাউ বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে, সরকারের দিকে তাকিয়ে বর্তমান শরিকরা




সুব্রত রায়,ধান্যকুড়িয়া: উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত ধান্যকুড়িয়ার সাউ রাজবাড়ির (Shaw Rajbari)অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ইতিহাসের নজির ।এর ফ্রেস্কো সাজসজ্জা ও করিন্থীয় স্তম্ভ দৃষ্টি আকর্ষণ করে সকলের। এই রাজবাড়িটি বর্তমানে বসবাসযোগ্য এবং এটি বর্তমান প্রজন্মের দ্বারা দেখাশোনা করা হয়। যদিও এটি গাইন রাজবাড়ির মতো যত্ন নেওয়া হয় না।তবুও ভিতর থেকে সাউ রাজবাড়ির মহিমা সত্যিই চিত্তাকর্ষক। একতলায় বাঁদিকের অলিন্দে ঢুকে প্রথম ঘরটিতে প্রবেশ করলে সেখানে দেখা যায় সেগুন কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র।

মূল উঠোনটি ঠাকুরদালানের দিকে যাওয়ার পথ দেখায়। যা বিশাল স্তম্ভ দ্বারা বেষ্টিত। করিডোরের মাধ্যমে পুরো বাড়ির গঠনকে সমর্থন করে। বাড়ির জানালা ও ঘরগুলো বর্তমানে তালা বন্ধ এবং সেই সমৃদ্ধি দেখার কোনও উপায় থাকেনা দুর্গাপুজোর দিনগুলি বাদে। একজন কেয়ারটেকার ও আছেন। ওই বাড়ির বর্তমান এক জামাই জানান তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন উত্তর কলকাতার পাইকপাড়া(Paikpara) এলাকায়। পুজোর ক’দিন আগে থেকে সাউ বাড়িতে আসেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে তাঁর স্ত্রীর অংশটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রং করান ও পরিষ্কার করানো হয়। এই বাড়ির অন্যান্য শরিকদের অধীনে থাকা ঘরগুলি অধিকাংশই তালা বন্ধ। বাড়িটির এক তলায় রয়েছে চরম নিস্তব্ধতা আর বসবাস করা পায়রাদের বকবকম কণ্ঠস্বর।

এ বছর সাউ বাড়িতে এক জাতির পরলোক গমন হওয়ায় দুর্গাপুজো হচ্ছে না। তবে পার্শ্ববর্তী গাইন ও বল্লভ বাড়িতে দুর্গাপূজা(Durga Puja) হবে তাই মায়ের আরাধনা না হলেও বাড়িটিকে আলো দিয়ে সুসজ্জিত করা হবে পুজোর ক’দিন।পশ্চিমবঙ্গের পুরনো রাজবাড়িগুলিতে ঠাকুরদালানের ধারণাটি খুবই প্রশংসনীয়। এই স্থাপত্যটি বাড়ির সম্পূর্ণ পরিবেশে একধরনের পবিত্রতা এবং শান্তি এনে দেয়। সাউ রাজবাড়িতেও এই ঠাকুরদালানের সৌন্দর্য স্পষ্ট রয়েছে। পাঁচটি খিলানবিশিষ্ট এই দালানটি সুন্দর স্টুকো প্যানেলে সজ্জিত, যা রাজবাড়ির ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে আরও ফুটিয়ে তোলে।

তবে, সাউ রাজবাড়ির বর্তমান অবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। ইতিহাসের ছোঁয়া থাকা এই ধরনের স্থাপত্যগুলো রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত। কিন্তু এই সাউ বাড়ির সদস্যদের দাবি তাদের একার পক্ষে এই ইতিহাসকে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। সরকার পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। পুজোর দিনগুলিতে টুরিস্টদের নিয়ে এসে ঘুরিয়ে দেখানো হয় এই সাউ বাড়ি। কিন্তু টুরিস্টদের ঘোরানো বাবদ যে টাকা সরকার পায় তার এক টাকাও এই সাউ বাড়ির বর্তমান প্রজন্মদের বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া হয় না সরকারের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ। তাই সামনের অংশে নতুন পাচিল এবং রঙের ছোঁয়া দেখা গেলেও বিশাল এই বাড়িটিতে চারপাশ ধীরে ধীরে গ্রাস করছে অশ্বত্থ ও বটগাছের ঝুড়ি। ইতিহাসের সাক্ষী এই সাউ বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে তার পলিস্টার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

সাঙ্ঘাতিক ঘটনা, মোমো কারখানার ফ্রিজে মিলল কুকুরের কাটা মুণ্ডু

সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যা করলেন স্বামী

আচমকা বেঁচে উঠলেন মৃত ফুটবলার, তারপর যা হল…

বীরভূমের মুরারইয়ে পাথরের লরির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু আদিবাসী বালকের, লরিতে ও রাজস্ব অফিসে আগুন

লেহঙ্গার কারণে ২০ মিনিটের বেশি থমকে দাঁড়াল বন্দে ভারত, কোথায় ঘটল বেনজির কাণ্ড?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর