নিজস্ব প্রতিনিধি: কথা দিলে কথা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কথা দিলে সেই কথা রাখে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও(TMC)। সেই একই কাজ করে দেখান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Abhishek Banerjee)। তিনি যে কথা দেন সেই কথা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেন। গতবছর উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে এসে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ধূপগুড়িকে(Dhupguri) মহকুমায়(Sub Division) উন্নীত করা হবে। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরও বলা ভাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই মর্মে এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন অভিযষেক। একই সঙ্গে ধূপগুড়িবাসীও এদিন মমতা ও অভিষেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিন অভিষেক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল। সেপ্টেম্বর ২ তারিখে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছে। আমার যতদূর আজ দৃষ্টি যাচ্ছে আমি দেখতে পাচ্ছি অসংখ্য মুখ যারা এই ঘোষণাকে উদযাপন করছেন।’ রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকেই খুশির হাওয়া বয়ে চলেছে ধূপগুড়িতে। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে পৃথক মহকুমার ঘোষণা সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন বছরের নতুন উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে। কার্যত গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই আনন্দে মেতে উঠেছেন ধূপগুড়িবাসী। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়।
নির্মলবাবু জানিয়েছেন, ‘ধূপগুড়িবাসীর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাবো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বানারহাট ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রশাসনিক কাজে যেতে হয় ৪৫ কিমি দূরে জলপাইগুড়িতে। দীর্ঘদিন ধরেই বানারহাট ও ধূপগুড়িবাসী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে সেই দাবি এবার বাস্তবে রূপ পেল।’ উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি মহকুমায় আপাতত থাকছে ধূপগুড়ি ব্লক, ধূপগুড়ি পুরসভা এবং বানারহাট ব্লক। থাকছে ধূপগুড়ি ও বানারহাট থানাও। ধূপগুড়ি ও বানাহাট ব্লকে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রামীণ হাসপাতাল। মহকুমা ঘোষণা হলেই যেমন প্রশাসনিক কাজের জন্য আর দূরে যেতে হবে না, তেমনই চিকিৎসা ব্যবস্থারও উন্নয়ন হবে। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী রায়ের প্রচারে এসে মহকুমা নিয়ে আশার কথা শুনিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে তৃণমূলের মূল ইস্যুই ছিল মহকুমা ঘোষণা। তৃণমূল প্রার্থী নির্মলবাবু জয়ী হওয়ার পরেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় মহকুমার দাবি পাস হয়ে যায়।