এই মুহূর্তে




শুভেন্দুর জন্যই দিলীপের দুর্দশা, দাবি তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর

Courtesy- Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্র সকালেই মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। নিজের ক্ষোভ অনেকটাই তিনি উগরে দিয়েছেন সেখানে। এমনকি প্রয়োজনে তিনি যে এবার রাজনীতিকেও ‘টা টা বাই বাই’ করে দিতে পারেন সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর অনুগামীদেরও মধ্যে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে হয়তো খুব শীঘ্রই বিজেপি(BJP) ছাড়তে চলেছেন দিলীপ। হয়তো তিনি নিজে কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গড়ে তুলবেন বাংলায় যারা আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে অবতীর্ণ হবে এবং ভোট যুদ্ধেও লড়াই করবে। সেই আবহেই এবার দিলীপের এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) কাঠগড়ায় তুললেন বাঁকুড়া লোকসভা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ(TMC MP) অরূপ চক্রবর্তী(Arup Chakrabarty)। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুর জন্যই দিলীপের এই দুর্দশা। শুভেন্দু যতদিন বিজেপিতে থাকবেন, ততদিন বঙ্গ বিজেপির এই হাল চলবে বলেই দাবি অরূপের।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দিলীপ বঙ্গ বিজেপির সফলতম সভাপতি। তাঁর আমলেই বঙ্গ বিজেপি বাংলার মাটিতে সর্বোচ্চ সাংসদ সংখ্যার মুখ দেখেছে। ১৮জন, সেই জয় এসেছিল ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনে। দিলীপের হাত ধরেই বাংলার বিধানসভায় সব থেকে বেশি সংখ্যক বিধায়ক পা রাখতে পেরেছেন। ৭৭জন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই সাফল্য এসেছে। কিন্তু তারপরে পরেই দিলীপকে সরিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদ থেকে। কিন্তু এটাও সত্য, দিলীপের সাফল্যকে আর কোনও বিজেপি নেতাই ছাপিয়ে যেতে পারেননি। সেই দিলীপকেই কিনা চূড়ান্ত হেনস্থা ও অপমান করে চলেছে পদ্মশিবির। দীর্ঘদিন তাঁকে পদহীন করে রাখা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে তাঁর জেতা কেন্দ্র থেকেই লড়তে দেওয়া হয়নি। মধ্য কলকাতায় বিজেপির পুরাতন রাজ্য কার্যালয়ে তাঁর ঘরটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ডাকা হয়না দলের সব বৈঠকেও। আর তাই প্রশ্ন উঠেছে, আর কত অপমান সহ্য করবেন বঙ্গ বিজেপির সফলতম প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন সেই দিলীপ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে কিছুটা অভিমানের সুরেই জানিয়েছেন, ‘পার্টি থেকে তো কেউ খোঁজই নেয় না। কী পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না। সব কার্যকর্তা আমাকে জিজ্ঞেস করছে কী করব, আমি বলতে পারছি না। কেউ দেখা করে না, কেউ কথা শোনে না। কারও কাছে সময় নেই কথা বলার। নিজেরা দেখা করবেন না, আমি দেখা করলেও কষ্ট, নেতৃত্বের সমস্যা! কী আর করা যাবে! কর্মীদের কাছে তো আমি নিজেই যাচ্ছি। এই অবস্থায় দিলীপের হয়ে কিছুটা হলেও ব্যাট ধরলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলায় একটা প্রবাদ আছে পরের ছেলে পরমানন্দ, যত উচ্ছন্নে যায় তত আনন্দ। বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের বিশেষ কিছু বলার নেই। তবে দিলীপ ঘোষ একজন লড়াকু নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই ৭৭ বিধায়কের দল হয়েছিল বিজেপি। ২ সাংসদ থেকে ১৮ সাংসদ হয়েছিল বাংলায়। সেই দিলীপ ঘোষকেই এখন জেতা সিট থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। এটা পুরোটাই ওদের দলীয় কোন্দল। আর তাঁর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে সেটা শুভেন্দু অধিকারী। ও যতদিন সংগঠনের দায়িত্বে থাকবেন ততদিন দিলীপ ঘোষের মতো মানুষেরা সংগঠন থেকে আরও দূরে চলে যাবে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের ৩ বছরের কারাদণ্ড

কালনায় হোমে ১০ বছরের ছাত্রের ‘রহস্যমৃত্যু’ ঘিরে চাঞ্চল্য

সাঁইথিয়ায় সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা!পা পিষে দিয়ে চলে গেল মহিলা যাত্রীর

বামেদের উত্তর কন্যা অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিলিগুড়ি

চার বছরের প্রেমে ছ্যাঁকা! বারান্দায় ধর্নায় বসে প্রেমিকের বিয়ে আটকালেন তরুণী

খেলার বল নিয়ে বিবাদের জেরেই ৪ বছরের শিশুকে খুন, ডোমজুড়ে গ্রেফতার নাবালক

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর