নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আর চার-পাঁচ মানুষের মত তার জীবন নয়। তবে সে সাধারণের সঙ্গে পা মিলিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হল বালুরঘাটের কামারপাড়ার পায়েল পাল। বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ার পরও পায়েল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬০।
মাথাটা শরীরের তুলনায় অনেকটা বড়, ভারী। বেশিক্ষণ মাথা তুলে বসে থাকার ক্ষমতা নেই পায়েলের। তবে মেয়েকে আর পাঁচটা স্বাভাবিক সন্তানের মতন করেই বড় করেছেন বাবা-মা। পায়েলের মধ্যে ছিল এক অদম্য ইচ্ছা শক্তি। তাই শারিরীক প্রতিবন্ধকতা তার কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃত খন্ড পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাদামাইল লক্ষ্মী প্রতাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী পায়েল পাল।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সে মায়ের কোলে চেপেই পরীক্ষা দিতে যায়। প্রতিদিন মা কামারপাড়া বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাদামাইলে টোটো করে নিয়ে গিয়ে স্কুলের গেট থেকে পাঁজা কোলে নিয়ে ক্লাসের বেঞ্চে বসিয়ে দিত। স্কুলের বাইরে বসে থাকতেন মা। জানা গিয়েছে ভবিষ্যতে পায়েল ব্যাঙ্ক কর্মী হতে চায়। তবে আপাতত সে ভূগোল নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করবে। কিন্তু মেয়েকে কলেজ পর্যন্ত পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পায়েলের বাবা-মা।