নিজস্ব প্রতিনিধি: পড়ুয়া বোঝাই স্কুলবাস উল্টে দুর্ঘটনায় এবার উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। মালদহ জেলার একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বাস শনিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বহু বছরের পুরনো বাসে করে কেন পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক।
শনিবার দুপুরে মালদা জেলার ইংরেজবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় স্কুল বাসটি। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাসে ৭১ জন পড়ুয়া ছিল। অল্পবিস্তর সকলেই জখম হয়। তাদের মধ্যে ২০-২৫ জনের চোট বেশ গুরুতর। দুর্ঘটনার পর আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন পড়ুয়া ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে ভররতি থাকা পড়ুয়াদের বেশিরভাগেরই মাথায় চোট লেগেছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। জখমদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আরেকজন পড়ুয়াকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা জখম পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানান, ‘ছোটদের কিছু হলে খারাপ লাগে। প্রার্থনা করি যেন ওরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। চালক কয়েকজন শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রত্যেকটি স্কুলবাসের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’ হাসপাতালে আহত পড়ুয়াদের দেখতে যান জেলাশাসক নীতীন সিংহানিয়াও। তিনি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য মালদহ জেলার একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বাস শনিবার ইংরেজবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শনিবার রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে উল্টে যায়। দমকল বাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা পড়ুয়াদের উদ্ধার করে।