এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গলায় আটকে ট্যাবলেট ব্যাটারি! চিকিৎসক বললেন কলা খাও

নিজস্ব প্রতিনিধি: গলায় আটকে থাকা ট্যাবলেট ব্যাটারি বের করতে কলা খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রোগীকে ছুটি দিলেন চিকিৎসক। নাবালিকার গলায় আটকে ট্যাবলেট ব্যাটারি। এই অবস্থায় গত ২৪ ঘন্টা ধরে জলপাইগুড়ি জেলার ৩ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিল পরিবার।

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়া ঝোড়া ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতের সজনে পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর নয়েকের পার্বতী সরকার। গত সোমবার রাতে তার বাড়িতে থাকা একটি ট্যাবলেট ব্যাটারি গিলে ফেলে। এরপর ব্যাটারিটি আটকে যায় তার গলায়। এরপর তার পরিবার তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।
ওই অবস্থায় নাবালিকাকে নিয়ে রাতেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এলে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এরপর তার পেটে ও বুকে এক্স-রে করলে তাতে কিছু ধরা না পড়লে তাকে চিকিৎসকেরা কলা খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেয়।

এরপর ওই পরিবার নাবালিকাকে নিয়ে চলে আসে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক ফের এক্স-রে করার নির্দেশ দেন। এক্স-রে করালে তার গলায় ব্যাটারি আটকে আছে বলে রিপোর্ট আসে। এরপর জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রেফার করে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। আর এইভাবে চরকির মতো ঘুরতে থাকায় ক্ষুব্ধ পরিবার হাসপাতাল চত্তরে সাংবাদিকদের ডেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। এরপর নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

ঘটনায় নাবালিকার মামা জলেশ রায় বলেন গতকাল রাত থেকে বাচ্চাকে নিয়ে আমরা একের পর এক সরকারি হাসপাতাল পাল্টালাম। কিন্তু আমার ভাগ্নীর কোনও সঠিক চিকিৎসা হলনা। আমরা সাধারণ মানুষ কিছু বুঝি না। যে কোনও বিষয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।ঘটনায় নাবালিকার জেঠু স্বপন সরকার বলেন আমরা গরীব মানুষ। ধূপগুড়ি হাসপাতাল আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দিল। কিন্তু আমরা এখানে এসে কোনও পরিষেবা পেলামনা। উলটে আমার ভাইঝিকে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোনও পরিষেবা নেই। তবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকার মানে কি?। আমরা অসহায় দরিদ্র মানুষ। আমরা চাই হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা পেতে। হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যাবস্থা তুলে ধরলাম। আশাকরি সুরাহা হবে।

ঘটনায় হাসপাতালে বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডাক্তার সুস্নাত রায় বলেন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সার্জেন দেখেছে। তার নির্দেশে এক্স-রে হয়েছে। কিন্তু তাতে ব্যাটারির ছবি ধরা না পড়ায় তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে গলার এক্স-রে করলে তারপর সেখানে ব্যাটারির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

‘বিচারপতির কলঙ্ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গো ব্যাক’, পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ ময়না

‘মোদি জিতলে দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না’, আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর