নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টে আবারও ধাক্কা রেশন ডিলারদের। তাঁদের সেই ধাক্কা দিল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত দুয়ারে রেশন প্রকল্পটিকে স্থায়ীকরণ করার জন্য রাজ্য সরকার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রেশন ডিলার। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তির ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করুক আদালত। কিন্তু এদিন রেশন ডিলারদের এই আবদারকে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। ফলে রাজ্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে এখন আর কোনও কাঁটা রইল না। রেশন ডিলারদেরও এবার এই প্রকল্প নির্বিঘ্ন ভাবে সারতে হবে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, যারা দুয়ারে রেশন নিয়ে এই মামলা ঠুকেছে তাঁদের করা অন্য একটি মামলা ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেরই সিঙ্গল বেঞ্চ। রেশন ডিলারদের দাবি, তাঁদের কাছে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষের বাড়িতেই রেশন পৌঁছে দিতে হবে। দুয়ারে রেশন না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়। সেই নির্দেশকেই কার্যত ঘুরপথে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা ঠুকেছেন রেশন ডিলাররা। তাঁরা এখন দাবি করছেন রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিই বাতিল করে দিতে হবে। যদি সেটাই হয় তার অর্থ প্রকল্পকেই বাতিক করে দেওয়া। একইসঙ্গে ডিলাররা আদালতের কাছে আর্জি রেখেছেন কোনও রেশন ডিলার এই প্রকল্পে যোগ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে যাতে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে। কিন্তু যেহেতু মূল মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে তাই এই মামলা অবকাশকালীন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই কথা শুনেই এদিন অবকাশকালীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্ট যখন খুলবে, যে দিন মামলার শুনানি ধার্য হয়েছে, সে দিনই এই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি শেখর ববি সারাফের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের উদ্দেশে বলে, ‘আবেদনটির কোনও যৌক্তিকতা নেই। আগে রাজ্য সরকার আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তারপর আপনারা আদালতে আবেদন জানাবেন। আদালত ভবিষ্যতের কোনও পদক্ষেপ আন্দাজ করে নির্দেশ জারি করতে পারে না।’ এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে দেয়, নিয়ম মতো ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন মামলার শুনানি হবে।