নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গা পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে আবার দুয়ারে সরকার শিবির। ইতিমধ্যে এই মর্মে তারিখ জানিয়ে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি পরিষেবা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পঞ্চমবারের মতো দুয়ারে সরকার শিবির হতে চলেছে।
নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগামী ১ নভেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হবে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের শিবির চলবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এর আগে চার দফায় সারা রাজ্য জুড়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হয়ে গিয়েছে। এবারে পঞ্চমবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ও সরকারি পরিষেবাকে বাড়ির দরজার সামনে আনতে রাজ্য সরকার ২০২০ সাল থেকেই চালু করেছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বছরে দু’বার করে বাড়ির পাশের এলাকায় কিংবা নিকটবর্তী এলাকায় সরকারি অফিসারদের দিয়ে শিবির করে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলে। রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্প ও পরিষেবা দেওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের উদ্দেশ্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, জাতি শংসাপত্র, সহ একাধিক ক্ষেত্রে আবেদন করা যায় দুয়ারে সরকার শিবিরে।
উল্লেখ্য গত জুন মাসে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি বাংলার প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সড়কপথে ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে শিবির করা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। একইসঙ্গে সুন্দরবনের মতো এলাকাতে লঞ্চে করে পরিষেবা প্রদানের কাজ করা হয়। লঞ্চে চেপেই সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলগুলির মানুষের কাছে পৌঁছে যান সরকারি আধিকারিকরা। আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতেও প্রচণ্ড ভিড় হবে বলে মনে করছেন নবান্নের কর্তারা।