নিজস্ব প্রতিনিধি: চার পুরসভার ভোটের ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে অন্যতম নির্দেশিকা ছিল করোনা আবহে প্রার্থী পাঁচজনের অধিক ব্যক্তিদের নিয়ে প্রচার করতে পারবেন না। কিন্তু কমিশনের নিয়মকে থোড়াই কেয়ার। রবিবাসরীয় প্রচারে চন্দননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে বিজেপি। সেই প্রচারে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সন্ধ্যা দাসের সঙ্গে ছিলেন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ, বিজেপি-র হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার এবং যুব সভাপতি সুরেশ সাউ। আর সেই প্রচার মিছিলে ছিল একাধিক বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। কার্যত কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই মিছিল চলছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশের তরফে বিজেপির মিছিল আটকানো হতেই বচসায় জরান বিজেপি বিধায়ক। তিনি যুক্তি দেখান, ‘শুধুমাত্র বিজেপি বলে আমাদের আটকানো হচ্ছে। আমরা চাই, ২২ তারিখের ভোট বাতিল করা হোক। কমিশনের নির্দেশ কি শুধুমাত্র বিজেপি-র জন্য? সিপিএমও ১০-১৫ জন লোক নিয়ে প্রচার করছে। ওরা বেরোলে আমাদেরও একশো লোক বেরোবে। গঙ্গাসাগর মেলায় ৪০০ জন সাধু করোনা আক্রান্ত। তাও মেলা হচ্ছে। শুধুই বিজেপির বেলাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন।’ রবিবার সকালেই চন্দননগরের পুরভোটকে কেন্দ্র করে বিশাল মিছিল বের করতে যান পুরশুরার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তখনই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। তারপরেই চন্দননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী সন্ধ্যা দাস। তাঁর সমর্থনে বিশাল মিছিল করেন বিধায়ক বিমান ঘোষ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে আগেই বলা হয়েছে করোনার জন্য কোনও বড় মিছিল বা মিটিং নয়। ভার্চুয়ালি প্রচার করতে হবে। সর্বোচ্চ পাঁচজন থাকবেন প্রার্থীর সঙ্গে। কিন্তু সেই নিয়মে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিধি ভেঙে প্রচার করার জন্য বিজেপি বিধায়ক ও পুর প্রার্থী সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জামিন দেওয়া হয় সাতজন বিজেপি নেতাকেই। এই ঘটনার পাল্টা দিয়েছেন শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘অনৈতিক কাজ, অনিয়ম করার জন্য বিজেপি মাস্টার। ওদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এটা করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশকে অনুরোধ করব এগুলো দেখার জন্য।’