নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশন বণ্টন দুর্নীতি(Ration Distribution Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলদের তালিকা তৈরি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED বা Enforcement Directorate’র আধিকারিকেরা। এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২৭টি পুরসভার ৮০জন কাউন্সিলরের(Councilors) নাম এসেছে যারা বালুর ঘনিষ্ঠ। একসময় উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বালু। পরে খাদ্যমন্ত্রী(Food Minister) হন। স্বাভাবিকভাবেই জেলার বেশ কিছু কাউন্সিলরদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। ED আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই কাউন্সিলরদের অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে ওই ৮০ জন কাউন্সিলরের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে ED। কার্যত সেই প্রস্তুতি শুরুও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই সকল কাউন্সিলরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে তাঁদের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসাব খতিয়ে দেখা হবে। তবে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হেফাজতের পাওয়ার পরেই শুরু হবে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
একই রকম ভাবে ED’র কানে এসেছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি সংস্থার নির্মীয়মান টাউনশিপ প্রকল্পে রেশন দুর্নীতির টাকা ঢালা হয়েছে। শিলিগুড়ির কাছেই থাকা শিবমন্দিরের কাছে চলছে দেবনগর টাউনশিপের কাজ। স্থানীয়দের দাবি, ED’র হাতে গ্রেফতার হওয়া বালু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের আত্মীয় এই জমি কেনেন। মহম্মদ ফারুখ ওরফে রাহুল দেব বিঘার পর বিঘা জমি কেনেন। কেনার সময় হাজির ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র এক আত্মীয়। সূত্রের খবর, দেবনগর প্রজেক্টের সাইন বোর্ডে একটি সংস্থার নাম থাকলেও সেখানে কোনও ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর কিছুই লেখা নেই। এমনকী যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রজেক্টের কর্মীরা অবশ্য বলছেন, এই সাইটের সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, যে জায়গায় এই প্রজেক্ট হচ্ছে তার একটা বড় অংশই কৃষি জমি। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে এই জমি কিনে নেওয়ার পর রাতারাতি চরিত্র বদল করা হয়। তারপরই টাউনশিপের ব্যানার লাগিয়ে জমি বিক্রির কাজ শুরু হয়।