নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে বর্তমানে আসানসোলের জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির দেহরক্ষীকে জেরা করতে জেলে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্তে নেমে সায়গলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুক্রবার আসানসোলে জেলে পৌঁছন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের খবর, সায়গল হোসেনকে জেরা করার অনুমতি পাওয়ার পর দিল্লি থেকে ইডি আধিকারিকদের একটি দল আসে। শুক্রবার সকাল নাগাদ আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গল জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চেয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সেই আবেদন মঞ্জুর করে। আদালতের নির্দেশের পর, শুক্রবার জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি’র গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর আধিকারিকরা অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পান। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী। তদন্তকারীদের দাবি, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা পেয়েছেন যে তথ্য অনুযায়ী সায়গল হোসেন গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। আসানসোলের জেলে দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। ওইদিন সায়গল হোসেনকেও জেলের মধ্যে জিজ্ঞসাবাদ করেন গোয়েন্দারা।