নিজস্ব প্রতিনিধি: জালালখালি স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানোর দাবিতে চলা রেল অবরোধ প্রায় ৩৩ ঘণ্টা পর উঠল। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল নদিয়া জালালখালির রেল অবরোধ। বুধবার সন্ধ্যায় অবশেষে অবরোধ তুলে নিল গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর, রেল আধিকারিকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তারপরই আন্দোলন তোলার সিদ্ধান্ত হয় জালালখালিতে। স্টেশনে আপ ও ডাউন প্ল্যাটফর্মের মাঝে রীতিমতো তাবু খাটিয়ে অবস্থান করছিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী। ফলে রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে নদিয়া জালালখালি স্টেশনে রেল অবরোধ চলছিল। স্থানীয়দের দাবি, প্রত্যেকটি আপ এবং ডাউন ট্রেনকে এই জালালখালি হল্ট স্টেশনে দাঁড় করাতে হবে। আগে সারাদিনে কেবলমাত্র ১৭ টি ট্রেন এই স্টেশনে থামত। ফলে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তেন জালালখালি এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ অবরোধের জেরে বারবার ছুটে যান রেলকর্তারা। কিন্তু তাঁদের মৌখিক আশ্বাসে চিড়ে ভেজেনি। শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে লালগোলা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই পূর্ব রেলের একটি শীর্ষ প্রতিনিধি দল জালালখালি পৌঁছয় বুধবার দুপুরে। আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। স্টেশনেই চলে আলোচনা। সূত্রের খবর নতুন করে আরও ১১ জোড়া অর্থাৎ ২২ টি ট্রেন এই স্টেশনে থামবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেল কর্তারা। এরপরই উঠে যায় অবরোধ। আর স্থানীয়দের মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি।