নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার ওই যুবককে মেদিনীপুর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম বাপ্পা বেজ। সে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকার বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে পুলিশের ওসি-র গাড়ির চালক ছিল অভিযুক্ত যুবক। পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল পিংলা-সহ বেশ কয়েকটি থানার ওসির গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করেছে সে। আর সেই সুযোগে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চলত তোলাবাজি। তোলাবাজি করে কোটি টাকা মানুষের কাছ থেকে নিয়েছে সে। মূলত ডিউটির পরে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করত ওই যুবক। সূত্রের খবর, বাপ্পা বেজ প্রথমে পিংলা থানায় ও পরে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশের ওসির গাড়ির চালক ছিল। গত তিন বছর ধরে সে পুলিশের চালকের কাজ করছে। বেসরকারি ভাবে ভাড়ায় নেওয়া গাড়ি চালাতো সে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার তোলাবাজি। অভিযোগ, থানার ওসির গাড়ি চালানোর পর বাকি সময়ে কখনও পুলিশের গাড়ি নিয়ে কখনও বা অন্যান্য গাড়ি নিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি আটকে টাকা তুলত ওই যুবক। পুলিশের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার বিভিন্ন বালি খাদান ও গোয়ালতোড়-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় গত তিন বছর ধরে মোটা টাকা তুলেছে বাপ্পা বেজ। যে টাকার পরিমাণ ২ কোটি টাকারও বেশি বলে পুলিসের দাবি। ওই যুবকের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। পুলিশকে কার্যত অন্ধকারে রেখে সে এই কর্মকাণ্ড চালাত। ওই যুবকের কীর্তি নিয়ে বেশকিছু লরির চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ওড়িশাতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত বাপ্পা বেজ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শুক্রবার ওড়িশা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্ত বাপ্পা বেজ নিজেকে পুলিশ হিসাবে পরিচয় দিয়ে রেখেছে বলে দেখা যায়।