নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগে থেকেই জঙ্গল মহল উত্তাল হয়েছে কুড়মি সমাজের আন্দোলনের জেরে। কুড়মিদের ঐক্য দেখে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট যত কাছে আসছে তত যেন ছবিটা পাল্টাচ্ছে। কুড়মি সমাজের ঐক্যে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গোপনে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে জোড়াফুল শিবির।
কুড়মি নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন কুড়মি সমাজের বহু মানুষ। তৃণমূলের হয়ে যেমন বহু কুড়মি প্রার্থী হয়েছে, তেমনই শাসকদলের বিরোধিতা করে নির্দল হিসাবেও প্রার্থী হয়েছেন বহু কুড়মি। কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতাদের বক্তব্য যারা রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাজের আন্দোলনে নিয়ে আসা হবে। মূলত কুড়মি সমাজ সামাজিক আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে ভিন্ন ভাবে দেখে। কিন্তু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে জঙ্গলমহল এলাকায় কুড়মিদের প্রার্থী করেছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এর ফলে কুড়মিদের সামাজিক আন্দোলনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।
উল্লেখ্য গত এক বছর ধরে কেন্দ্রের কাছে সিআরই কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশান পাঠানোর দাবিতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে নিজেদের আন্দোলন তীব্রতর করেছে কুড়মি সমাজের বিভিন্ন সংগঠন। রেল রোকো, ঘাঘর ঘেরা-সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বিক্ষুব্ধ কুড়মি সমাজকে কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।