নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বানে দুর্যোগের ত্রাস। প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে লাগাতার রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি। এরমধ্যে জল ছেড়েছে ডিভিসি। ফলে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় নবান্নে চলছে বৈঠক। রাজ্যের নয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১০,০০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নবান্নে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। রাজ্যের হেল্পলেইন নম্বর: ০৩৩২২১৪৩৫২৬, ১০৭০, ১৮০০২১২১৬৫৫, ৯০৫১৮৮৮১৭১। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৪টি জেলা ও দক্ষিণবঙ্গের ৫টি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পচিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তরবঙ্গে ২৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ৫৮০০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ১৯০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। যেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৫০১৮ জনকে। এনডিআরএফ-এর ৪টি দল উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছে। পাঁচটি এনডিআরএফ দল দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে।
উত্তর সিকিমে বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে কালিম্পং-এর নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লিখুভির-সেটিঝোরা অংশের কাছে গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি সংযোগকারী জাতীয় সড়ক ১০ সম্পূর্ণভাবে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ থেকে ৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
২৭ জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ। সে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্কটের এই সময়ে সেনাবাহিনীকে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত জানিয়েছে রাজ্য। তিস্তায় জল নিয়ন্ত্রণে এলে দ্রুত মেরামতির কাজ চালু হবে। চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।