নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। প্রায় ৮৩ লাখ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ওই উপপ্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার কাটোয়া আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই উপপ্রধানের নাম শেখ হেকমত আলি। তিনি মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বীরভূম জেলার কীর্ণাহারের বাসিন্দা বদরুদ্দোজা নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট থানায় ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। বদরুদ্দোজা জানান, তাঁর ছেলের সঙ্গে অভিযুক্ত উপপ্রধানের মেয়ের বিয়ে হয়। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে ওঠে। বদরুদ্দোজার ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সম্পর্কে বেয়াই হেকমত টাকা দাবি করেন। বেয়াইয়ের কথা মতো টাকা দেয় বদরুদ্দোজা। শুধু নিজের জামাইয়ের বাবার কাছ থেকে নয়, বদরুদ্দোজার সূত্রে আরও আরও ১১ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত উপপ্রধান শেখ হেকমত আলি। এইভাবে মোট ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেয় অভিযুক্ত। এমনকি কয়েকজনকে চাকরির জন্য জয়েনিং লেটারও দেওয়া হয়। যদিও পরে জানা যায় সেগুলি ভুয়ো। এরপরেই বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বদরুদ্দোজা। এর পর তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে ঝিলু দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেকমত আলিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। নতুন হাটের স্কুল মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।