নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজল: বিজেপি ছাড়লেন গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের জেলা সহ-সভানেত্রী দিপালী বিশ্বাস(Dipali Biswas)। তার সাথে দল ছাড়লেন লোকসভা নির্বাচনে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি পর্যবেক্ষক রঞ্জিত বিশ্বাস। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দুজনেই যোগ দিলেন তৃণমূলে। মঙ্গলবার মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী(Abdur Rahim Bakshi) ও মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন। গাজোলের প্রাক্তন বিধায়কের দলত্যাগে অনেকটাই অস্বস্তিতে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে গাজোল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমুলে যোগদান করেন দিপালী বিশ্বাস। এরপর ২০২০ সালে ডিসম্বর মাসে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাকে বিজেপি সহ সভাপতি করা হয়। পাশাপাশি দিপালী বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস(Ranjit Biswas) বর্তমানে পুরাতন মালদার বিজেপির পর্যবক্ষেক ছিলেন। এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নেন গাজোলের প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘বড় ভুল করেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ভুল বুঝিয়ে দলে নিয়ে গিয়েছিল। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। একটা কথাও রাখে নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avisekh Banerjee) যে আমাকে দলে নিয়েছে আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্ররোচনায় যাতে আর কেউ পা না দেয়।’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,২০১৯ সালে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪সালে বিজেপির মিথ্যাচার বুঝতে পেরে তারা তৃণমুলে এসেছে। ধস নামা শুরু হয়েছে। আগামীতে আরও হবে। গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন বলেন,কিছু মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে এসেছিলেন। স্বার্থসিদ্ধি হয়নি তাই দল ছাড়লেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।