দক্ষিণ দিনাজপুর: করোনা পরিস্থিতিতে অতিমারির মোকাবিলা বা আমফানের মোকাবিলা অথবা অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে পুরবাসীদের সুবিধার্থে তাঁদের পাশে থেকে অবিচল ভাবে কাজ করে চলেছে গঙ্গারামপুর পুরসভা (MUNICIPALITY)। সেই কথা বারবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। বারবার পুরসভা উন্নয়নের স্বর্ণ মুকুটে নতুন করে পালক সংযোজন হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র সহ সদস্যরা সকলের পাশে থেকে দিবারাত্রি ক্লান্তিহীন ভাবে পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, পুরসভায় এর আগে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। আর সেই সময় পুরবাসী বা পুরএলাকার জন্য কোনও রকম কাজই হয়নি। বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে গঙ্গারামপুর পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকে দিন দিন নতুন সাজে সেজে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা। এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। বর্তমান পুরসভা চেয়ারম্যানের দাবি এমনটাই।
তিনি জানাচ্ছেন, পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডেই তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তাঘাট, জলনিকাশি ব্যবস্থা। বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজও করেছে পুরসভা। সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর শহর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি মৌজা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। একাধিক উন্নত পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন পুরনাগরিকরা। তবে তার কোনওটারই বাস্তবায়ন তখন হয়নি বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
২০১৫ সালে পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন সরকার। দাবি, দীর্ঘ ২১ বছরে বামেরা যা করতে পারেনি, মাত্র তিন বছরেই তা করে দেখিয়েছে দেখিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকার। পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পানীয় জল, নিকাশিব্যবস্থা, আবাস যোজনায় বাড়ি, পাকা রাস্তাঘাট, আলো, গোয়ালখাঁড়ি শশ্মানে বৈদ্যুতিক চুল্লি, আধুনিক স্টেডিয়াম, বিশ্ববাংলা তোরণ ফোয়ারা, খেয়াঘাটের জন্য বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি সহ আরও অনেক কিছু হয়েছে।
পুরসভার নানান উন্নয়নমূলক কাজে খুশি হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে গঙ্গারামপুরবাসীদের। উন্নত ও আধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। পর্যটকদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পার্কেরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কালদিঘির পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টয়ট্রেনের মত ট্রেনও চলছে। এই পার্কে থাকা টুরিস্ট লজটিরও সংস্কার করেছে পুরসভা। এছাড়াও ঐতিহাসিক বানগড়কেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। স্বল্প খরচে বাসষ্ট্যান্ডে রাত্রিযাপনের জন্য পুরসভার তরফে অতিথি আবাস চালু করা হয়েছে।
পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনারায়ণপুর মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা। দিন দিন হচ্ছে আধুনিক ও ঝাঁ-চকচকে। গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে ও চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের একান্ত চেষ্টায় উন্নয়নের ধারায় নানান উন্নয়নমূলক কাজ সহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আপ্লুত এলাকাবাসী।