নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি এই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার কুলি গ্রামে। প্রেমিকার অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রেম করে, রাত কাটিয়েও বিয়ে করতে রাজি হয়নি যুবক। উলটে বিয়ের জন্য ৭ লক্ষ টাকা পণ চাওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার কুলি গ্রামের এক যুবকের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ হয় এক যুবতীর। পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবদীঘি থানা এলাকার বাসীন্দা ওই যুবতী। তারপর বন্ধুত্ব এবং ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। দিঘাতে বেড়াতেও গিয়েছিলেন দুজনে একসাথে, সেখানে রাতে একসঙ্গেও ছিলেন। যুবতীর অভিযোগ, এর পর বিয়ের কথা বলতেই ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওয়াজিদ। কিন্তু ওই যুবতীর পরিবার অত্যন্ত গরিব, তাদের এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। এই কথা শোনার পর ওয়াজিদ সমস্ত রকমভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ওই যুবতির সাথে। কিন্তু প্রেমিকার একটিই দাবি, সে ওই যুবককে ছাড়া বাঁচবে না, তার সঙ্গেই সারাজীবন কাটাতে চায়। এরপর ধর্নায় বসে প্রেমিকা।
জানা গিয়েছে, ওই যুবতিকে ধর্নায় বসে থাকতে দেখে ওয়াজিদের পরিবারের লোকজন বাড়ি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা যুবকের বাড়ির সামনে ভিড় জমান। খবর দেওয়া হয় বড়ঞা থানার পুলিশকে। ওয়াজিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বড়ঞা থানার পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।