নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিং: বঙ্গ বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের একাংশ যখন বাংলা ভাগের দাবিতে সরব, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার ধুয়ো তুলছেন, তখন পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে দাঁড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বরং পাহাড়ে উন্নয়নের কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সরব হলেন দলের নেতারা।
আজ সোমবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হয়ে বৈঠকে অংশ নেন বিমল গুরুয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রোশন গিরি। পাহাড়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করার পরেই জিটিএ নির্বাচন করানোর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। সেই সঙ্গে পাহাড়বাসীর সঙ্গে যে বিজেপি প্রতারণা করেছে, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিজেপি আমাদের ঠকিয়েছে।’ জিএলপি’তে যারা ছিল তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন রোশন।
এদিন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীত থাপা ও অমর লামা এবং কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলেই জিটিএ নির্বাচন দ্রুত শেষ করার পক্ষে সওয়াল করেন। সমতলের মতো পাহাড়েও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জিটিএ নির্বাচনের পরে কিভাবে তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।