নিজস্ব প্রতিনিধি: বার্ধ্যক্য ভাতা নিচ্ছেন ৫৯ বছরের প্রৌঢ়া! অথচ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৬০ না ছুঁলে মেলে না বার্ধক্য ভাতা। বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুরসভার কপালে উঠেছে চোখ। গুরুতর এই অপরাধ উনি অর্থের অভাবে করেননি। করেছেন লোভে। কারণ তাঁর ছেলে অধ্যাপক ও মেয়ে শিক্ষিকা।
রাজ্য সরকারের রাজকোষে বেশি টাকা নেই। এই অবস্থাতেও সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য রাজ্য চালু করেছে পরিষেবা। সমস্ত প্রকল্পের জন্য রাজ্যের অবস্থা হিমশিম খাওয়ার মত, তাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য প্রাপ্য বকেয়া পায়নি। তবু সমস্ত প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বেআইনি ভাবে তার সুযোগ নিলেন এই মহিলা।
অভিযুক্ত শান্তিপুর পুরসভার (Municipality) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। থাকেন ডক্টর বিসি রায় রোডে। বিশাল বাড়ি। আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পেয়ে আসছেন বার্ধক্য ভাতা। তাঁর বয়স পেরিয়েছে ৬০। অভিযোগ, তিনিও ভাতা পাওয়ার যোগ্য না। তবে স্ত্রীর বয়স এখনও ৬০ হয়নি। তাঁর বয়স ৫৯। অথচ কয়েক বছর আগে থেকেই তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। যা রীতিমত বেআইনি। এখানে অভিযুক্ত সেই আভা, যিনি ৬০ বছর ছোঁয়ার আগে থেকেই এই সুবিধা নিয়ে আসছেন বছরের পর বছর।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক আয়ের ঊর্ধসীমা দেখেই এই প্রকল্পের উপভোক্তা হবে কি না তা ঠিক করা হয়। দেখা হয়, পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করেন কি না বা সম্পত্তি কত। তবে মাধব ও আভা এসব কিছুতেই এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। বেআইনি ভাবে বছরের পর বছর তবু নিয়ে যাচ্ছেন সুবিধা।
এই অবস্থা দেখে আঁতকে উঠেছেন পুরসভার আধিকারিক- কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। চমকে উঠেছেন শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। তিনি ঘটনার তদন্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।