নিজস্ব প্রতিনিধি,হাকিমপুর: দুই বাংলাদেশিকে ভারতে ঢোকানোর অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন বিএসএফ কর্মী(BSF Jawan)। আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত বিএসএফ কর্মী। ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে রক্ষক ই ভক্ষক। তার প্রমাণ মিলল সরাসরি।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোষ্টের ঘটনা। বছর ৩০এর প্রদীপ ঘোষ বিএসএফের কর্মী। ১৯৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে ত্রিপুরায় কর্মরত ছিলেন গত ১২দিন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন ।
সেই সুযোগে সীমান্ত সুরক্ষার প্রভাব খাটিয়ে দুই বাংলাদেশি, যশোরের বাসিন্দা সুমতি বিশ্বাস, হানিফ হোসেন দুইজনেরই যশোরে বাড়ি স্কুটি করে চাপিয়ে স্বরূপ নগরের(Swarupnagar) দিকে নিয়ে আসছিলেন। সেই সময় হাকিমপুর চেকপোষ্টে ১১২,নম্বর ব্যাটেলিয়ন এর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার কাছ থেকে যেমন বিএসএফের পরিচয় পত্র পাওয়া যায়,তার স্কুটি করে দুইজন বাংলাদেশী ছিল তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ওই বিএসএফ কর্মী সহ দুই বাংলাদেশিকে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী জওয়ানরা। তারপর বিএসএফ কর্মী সহ তিন জনকে স্বরূপনগর থানার পুলিশ সাথে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত বিএসএফ কর্মী সহ তিন জনকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে(Bashirhat Court) পেশ করা হয়।
প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বারবার রাজ্য সরকার এই অভিযোগটা করেছিল। সীমান্তে পাঁচারের সঙ্গে বিএসএফের কর্মীরা যুক্ত। এবার হাতেনাতে ফের একবার প্রমাণ পাওয়া গেল। বিএসএফ কর্মী নিজেই দুই বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে এদেশে ঢুকিয়ে স্বরূপনগরের দিকে নিয়ে আসছিল। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চলে চড়িয়েছে হাকিমপুর সীমান্তে। বিএসএফ কর্মীর বাড়িতে গেলে তার বাবা ভরত ঘোষ সহ দাদা এ বিষয়ে কোনো মুখ খুলতে চাইনি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিএসএফ কর্মী কত টাকার বিনিময় সীমান্ত পার করিয়েছে না এর পিছনে নাশকতামূলক কোন ফন্দি ছিল। সেটাও তদন্তকারীরা একবার দেখে নিতে চাইছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোটরসাইকেলটি এই দুই বাংলাদেশি(Bangladeshi) সঙ্গে ওর আগে কোন যোগাযোগ ছিল কিনা সেটাও তদন্তকারীর একবার দেখে নিতে চাইছে ।ওই বিএসএফ কর্মী আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা সেটাও তদন্তে যাচাই করে নিতে চাইছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। তাকে পুলিশে হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিচারকের কাছে পুলিশ।