নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের বিপাকে পড়লেন দার্জিলিং পুরসভার (DARJEELING MUNICIPALITY) চেয়ারম্যান। অনাস্থা প্রস্তাব আনা আটকাতে চেয়ারম্যান এবং হামরো পার্টি দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। তবে আদালতের রায়, অনাস্থা প্রস্তাব আনায় কোনও বাধা নেই। এই রায়ের পরে জোর কদমে অনাস্থা আনার (পুর আইন, ১৯৯৫) প্রস্তুতি শুরু করেছে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক দল।
সোমবার হাইকোর্টের (HIGH COURT) সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশে খারিজ হল পুরসভার চেয়ারম্যানের আর্জি। উল্লেখ্য, আদালতের রায়ে স্পষ্ট হল, বুধবার দার্জিলিং পু্রসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাতে আর কোনও বাধাই থাকল না অনীত থাপার দলের। প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যানের মতোই হামরো পার্টি অনাস্থা আটকাতে চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের। সেই আর্জিও এদিন খারিজ হয়ে যায়।
গত ২৪ নভেম্বর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি তুলে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা’র ৬ কাউন্সিলর নোটিস পাঠিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, আলোচনায় বসার জন্য। তবে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই বৈঠক হয়নি। এরপরে ফের গত ১৩ ডিসেম্বর একই বিষয়ে জানানো হয় ভাইস চেয়ারম্যানকে। তবে বৈঠক সেবারেও না হওয়াতে মিটিং ডাকেন ৩ কাউন্সিলর। বৈঠকের দিন হিসেবে ঠিক করা হয় আগামী বুধবারকে। এরপরেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল চেয়ারম্যান এবং হামরো পার্টি। তবে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী বুধবারের অনাস্থা প্রস্তাবে কোনও বাধা নেই।
উল্লেখ্য, ২,৪,৭,৮, ১৩ এবং ১৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা দল বদল করে যোগ দিয়েছিলেন গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায়। এর মধ্যে ৪ জন হামরো পার্টির। বর্তমানে ১৬টি আসন অনীত থাপার জোটের দখলে। হামরো পার্টির দখলে ১২ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দখলে ৩টি আসন।