এই মুহূর্তে




নন্দীগ্রামে রথিবালা আড়ির খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি নাকচ হাইকোর্টের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচন(Loksabha Election 2024) চলাকালীন সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামে(Nandigram) খুন হয়েছিলেন রথিবালা আড়ি নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মী(BJP Worker Murder Case)। সেই ঘটনায় এদিন অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। এই মামলায় আগেই রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। শুক্রবার রাজ্য সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। যদিও এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি উঠলেও শেষ মুহুর্তে তা আবার পিছিয়ে যায়। আগামী ২৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। নন্দীগ্রাম যে লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে সেই তমলুকে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল ২৫ মে। ঠিক তার দিন দুই আগে আক্রান্ত হন রথিবালা। তাঁর ছেলে সঞ্জয় আড়িও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘটনার দিনই রথিবালা মারা গেলেও তাঁর ছেলে আহত অবস্থায় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।   

২৩ তারিখ রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকার বাসিন্দা রথিবালার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। রথিবালার ছেলের দাবি, দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিলেন তিনিই। তাঁকে বাঁচাতে গেলে রথিবালাকে একাধিক কোপ মারা হয়। মা-ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকেরা রথিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রথিবালা যেমন বিজেপি কর্মী ছিলেন, তেমনি তাঁর ছেলেও বিজেপি করেন। রথিবালার খুনের সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁর মেয়ে মঞ্জু আড়ি। সেই মামলাতেই শুক্রবার উচ্চ আদালতে রিপোর্ট দিল রাজ্য সরকার। মামলাটি এদিন শুনানির জন্যও আদালতে উঠেছিল। তবে শেষনেষ তা পিছিয়ে যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, আগামী ২৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

রথিবালা হত্যার ঘটনার তদন্ত আপাতত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু মৃতের পরিবার সিবিআই(CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছে। শুক্রবারও তাদের আইনজীবী সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চান। কেননা তাঁরা মনে করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছিল। যদিও এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, আপাতত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। পরবর্তী শুনানির দিন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

ঘটনা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে অবধি রাজ্যের নানা ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পরে মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্ত দাবি করা হতো এবং প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেই দাবি মঞ্জুরও হতো। এমনকি সেখানে রাজ্য সরকারের মতামত বা অনুমতিও চাওয়া হতো না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি যে সংবিধান সন্মত নয়, সেটা জানিয়েই এখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই মামলা শুনানির জন্য গ্রহণও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্ট এখন আর মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিচ্ছে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও কেন কাজ করাননি? বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র

সৎ ভাইকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা, অবশেষে গ্রেফতার দাদা, তোলপাড় নবদ্বীপ

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ডোমজুড়ে ৪ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

পণের টাকা দিতে না পারায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে

ঈদে ছুটির কারণে শনিবারও হবে আর্থিক লেনদেন,বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের

সঙ্ঘাতের পথ ছাড়লেন রাজ্যপাল,বাজেট অধিবেশনে পাশ হওয়া তিন বিলে ছাড় বোসের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর