নিজস্ব প্রতিনিধি,হিঙ্গলগঞ্জ: দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের জের ও ধর্ষনের ঘটনায় গলায় দড়ি দিয়ে অভিমানে আত্মহত্যা। উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটের(Bashirhat) হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালীর দশম শ্রেণীর ছাত্রী বছর ১৫,র প্রিয়াঙ্কা দাস। বাবা পাঁচু দাস।দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সন্তান ছিল প্রিয়াঙ্কা।বাবা পাঁচু দাস খেয়ার বোর্ড চালিয়ে কোনরকমে সংসার সামলান। চলতি মাসে ২’ রা ফেব্রুয়ারি প্রিয়াংকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে,এবং তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে পাওয়া যায় প্রিয়াঙ্কার বাড়ির পাশের বাসিন্দা দুখিরাম দাস সবসময় প্রিয়ঙ্কাকে উত্ত্যক্ত করতএবং তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা বলতো।
কিন্তু প্রিয়াঙ্কা রাজি না হওয়ায় ১লা, ফেব্রুয়ারি রাতে প্রিয়াঙ্কাকে একা পেয়ে দুখিরাম নিজের মনোবাসনা পূর্ণ করেন। এই ঘটনা কাউকে,সে যেন না জানায়,জানালে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।সেই ভয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজেই এই পথ অবলম্বন করে।পরিবারের লোক ও পাড়ার লোক দুখিরামের ফাঁসির সাজা চাইছেন।এদিন প্রিয়ংকার পরিবারের লোকের সাথে দেখা করেন বিজেপির হিঙ্গলগঞ্জ মণ্ডলের পক্ষ থেকে বিজেপি সদস্যরা। বিজেপির সদস্যদের দেখে প্রিয়াঙ্কার পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ল।উপস্থিত ছিলেন পুষ্পেন্দু রয় মন্ডল সভাপতি,পার্থপ্রতিম জানা সহ সভাপতি,চামেলী গায়েন সহ সভাপতী,সুজিত পরামানিক হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার কো -কনভেনার,সুব্রত মন্ডল।
এছাড়াও আরো অনেক সদস্যগণ।এ বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ(Hingalganj ) মন্ডল ১- র সভাপতি পুষ্পেন্দু রায় তিনি বলেন ,আমরা ওই পরিবারের সাথে আছি। দোষির সাজা চাই ।যদি না হয় আমরা আন্দোলনের পথে নামবো।আর এই বিষয়ে দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ও সক্রিয় পঞ্চায়েত মেম্বার বিধান মুন্ডা তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন খুবই সক্রিয়। পুলিশ পুলিশের মত কাজ করছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুখিরামের বাড়িতে গেলে তাঁর পরিবার বলেন, ছেলে দোষ করলে সাজা পাবে সাজা পাবে। আইন আইনের পথে চলবে।এদিকে,হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল নেতা বিধান মুন্ডা বলেন, বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে এসেছে ।যেখানে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে সেখানে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি নেতৃত্ব।