এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ব্যবহার করতে হবে কেন্দ্রের লোগো

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের জন্য চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্র সরকার(Central Government) ৮২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে চাপিয়ে দিয়েছে এমন কিছু শর্ত যা পূরণ করা যথেষ্ট কঠিন। তাই বিতর্ক ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে। অনান্য রাজ্যকেও কেন্দ্র সরকার বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা দিয়েছে। কিন্তু কোথাও শর্ত চাপিয়ে দেয়নি। কিন্তু ‘বাংলার বাড়ি’(Banglar Bari) প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার যে টাকা পাঠিয়েছে তার সঙ্গে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব নগেন্দ্রনাথ সিনহার স্বাক্ষরিত ছ’দফা নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে। যার মধ্য অন্যতম হল এই প্রকল্পে নির্মীত বাড়ির কোথাও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের নাম ও লোগো ব্যবহার করা যাবে না। সেখানে ব্যবহার করতে হবে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’(Pradhanmantri Awas Yojna)র নাম ও লোগো। একই সঙ্গে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামসভার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে ফেলতে হবে এই ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম। শুধু তাই নয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রথম কিস্তির টাকাও পাঠিয়ে দিতে হবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত এই একমাসের মধ্যে উল্লিখিত কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারলে বরাদ্দ বাতিল করে দেবে কেন্দ্র, এই শর্তও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গ বিজেপির নেতাদের অভিযোগ ছিল, বাংলার বুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দিয়ে অনেক কিছুই করছেন। কিন্তু কোথাও সেই সব কাজ কেন্দ্রের প্রকল্পের নামে হচ্ছে না। সেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করে দেওয়া হচ্ছে। আর তার জেরে সবাই ভাবছে কেন্দ্র সরকার বাংলার মানুষের জন্য কিছুই করছে না বা কোনও টাকাই পাঠাচ্ছে না। বস্তুত বঙ্গ বিজেপির এই অভিযোগ নতুন নয়, খুব একটা ভুলও নয়। আর তার জেরেই কেন্দ্র সরকার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য টাকা পাঠালেও তার সঙ্গে কড়া শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে এখন অনেকেই মনে করছেন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১১ লক্ষ মানুষ মাথার ওপর পাকা ছাদ পেতে চলেছেন। সেই প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৩ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করছে। সেই টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ২০০ কোটি যা চলতি সপ্তাহেই হাতে এসেছে রাজ্য সরকারের। প্রকল্পের বাকি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন কেন্দ্রের শর্ত মেনে এই সব বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে সেখানে কোথাও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের লোগো বা নাম কিছুই ব্যবহার করা যাবে না। বরঞ্চ বসাতে হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম ও লোগো। যার জেরে মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে ওই বাড়ি বা প্রকল্পের কাজ করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার, বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নয়।

কেন্দ্রের এই শর্তের জেরে এখন রীতিমত অস্বস্তি ছড়িয়েছে নবান্নে। রাজ্যের আধিকারিকদের সাফ দাবি, কেন্দ্র সরকার বাংলার সঙ্গে কার্যত বিমাতৃসুলভ আচরণ করেই চলেছে। দেশের অনান্য রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার খাতে টাকা পাঠানো হলেও সেখানে কোথাও এই ধরনের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে তা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন। আর তা হল, যেহেতু আগামী ১ মাসের মধ্যে ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম ঠিক করে ফেলতে হবে এবং তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকাও পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে এবং এটাও বলে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই দুই কাজ না করলে কেন্দ্র বরাদ্দ বাতিল করে দেবে, তাই কেন্দ্রের পাঠানো টাকা এবং রাজ্যের টাকা একটি নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। ১ মাসের মধ্যে প্রথম দুই শর্ত পূরণ না হলেও কেন্দ্র তাঁদের টাকা ওই নোডাল অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফিরিয়ে নেবে। কেন্দ্র সরকার এটাও জানিয়েছে, গোটা প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আর এই নির্দেশিকার জেরেই এখন তৃণমূলের পালটা দাবি, মোদি সরকার আদতে এই প্রকল্পকে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি করে প্রকল্প শেষ করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

CAA নিয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির ‘ভাঁওতাবাজি’ তুলে ধরছেন মতুয়া প্রার্থী

‘সবাই যদি অনুপ্রবেশকারী হয় তাহলে আপনিও অনুপ্রবেশকারী প্রধানমন্ত্রী’, খোঁচা মমতার

CAA ইস্যুতে মমতার হাত শক্ত করার ডাক দিলেন নমঃশূদ্র বোর্ডের চেয়ারম্যান

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

‘শাঁখা-পলার মাহাত্ম্য জানেন? ওসব কী জানেন?’, মোদিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

মনিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানকে চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন গ্রামবাসীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর