নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: হাওড়ার নাজিরগঞ্জের লিচু বাগানে বন্দুক হতে শনিবার রাতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। মারধর করা হয় এলাকার বেশ কয়েকটি যুবককে। সেই ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এলাকায় নাজিরগঞ্জ(Nazirganz) তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন হয়েছে।সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। এলাকায় এই হামলার ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে । প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে এই এলাকাতেই প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা ওয়িজুল খানকে। নাজিরগঞ্জ লিচু বাগানের ঘটনায়র মুল অভিযুক্ত মাসুদ আলম খান ওরফে (গুড্ডু খান ) ও কামরুন জামাল খান এদের দুজন কে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে দুজনের 8 দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এবারও তার পরিবার এবং তার ছেলেদের ওপর আক্রমণ। ঘটনার তদন্তে নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় হাওড়া কর্পোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর(Ex Councillor) নাসরিন খাতুনের স্বামী মাসুদ আলম খান(Masud Alam Khan) ওরফে (গুড্ডু খান) কে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় একাধিকবার হামলার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ রায়(Minister Arup Roy) স্পষ্ট জানিয়েছেন ,কেউ দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানান মানে সে দলের নেতা বা কর্মী নয় ।ঘটনার পর সিসিটিভির(CCTV)ফুটেজ দেখে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার গুড্ডু খানকে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যায় করে থাকলে আইন আইনের পথে চলবে। এদিকে যাদের উপর হামলা হয়েছে, তারা দাবি করেছেন, গুড্ডু খান স্থানীয় বিজেপি নেতা। তবে রবিবার যখন তাকে আদালতে পেশ করা হয় ,তখন সংবাদ মাধ্যমের সামনে সে বারবার নিজেকে তৃণমূল নেতা বলেই দাবি করেন। এমনকি গুড্ডু খান পাল্টা দাবি করেন, মারামারির সময় যখন ব্যাট বা উইকেট বা রিভলভার বাট ব্যবহার করার চেষ্টা হয়েছে, তিনি তা আটকেছেন ।কেড়ে নিয়েছেন ।কিন্তু সিসিটিভির ফুটেছে অন্য চিত্র ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ আহতদের বয়ান রেকর্ড করছে এবং একই সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকেও ঘটনার সূত্রপাত কেন এবং কিভাবে হল এবং কি কি ঘটেছিল তা জানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।