এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মন্দারমণি গেলে এই জিনিস দেখতে ভুল করবেন না…

নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার মাটিতে বাংলার অন্যতম পরিচিত ও জনপ্রিয় সৈকত হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে মন্দারমণি(Mandarmani)। প্রতিদিন সেখানে অসংখ্য পর্যটক আসেন, থাকেন, ঘুরে দেখেন। কিন্তু তার মধ্যেই একটি বড় আকর্ষণ অনেকেই না দেখে ফিরে আসেন। অবশ্য বড় আকর্ষণ হিসাবে বলার থেকেও বলা ভাল প্রকৃতির রোষানল ঠিক কীরকম হতে পারে আর প্রকৃতি চাইলে আমাদের সৃষ্টিকে নিয়ে কী না করতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই বস্তুটি। অবশ্য বস্তু বলাও বোধহয় ভুল হবে, কেননা এখন তা এক বিপজ্জনক ধ্বংসাসবশেষ ব্যাতীত আর কিছুই নয়। তবুও তাকে দেখেই মানুষের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রকৃতির শক্তির কাছে আজও আমরা ঠিক কতটা অসহায় সেটাই বুঝে নেওয়া যায় এই ধ্বংসাবশেষটি দেখে। এই ধ্বংসাবশেষ একটি বেসরকারি হোটেলের(Private Hotel)।

আরও পড়ুন বঙ্গের পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবে IIM

২০২১ সালের মে মাসে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) ‘যশ’(Yash) বাংলার বুকে আছড়ে না পড়লেও তার ধাক্কায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রের তীব্র জলোচ্ছ্বাসের(Tidal Wave) শিকার হয়েছিল। ক্ষেপে ওঠা সাগরের জল হু হু করে সুনামির মতো একের পর এক ঢেউয়ের মাধ্যমে ঢুকে পড়েছিল মূল ভূ-খণ্ডে। তার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাগরতীরবর্তী প্রায় সব গ্রামই চলে গিয়েছিল কয়েক ফুট জলের তলায়। ভেঙে পড়েছিল কয়েক হাজার মাটির বাড়ি। জল ঢুকেছিল অনেক কংক্রিটের বাড়িতে। দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণির বুকেও হয়েছিল প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি। ঢেউয়ের ধাক্কায় সৈকতে থাকা অসংখ্য স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ভেঙে গিয়েছিল। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল সেই সব দোকানের সামগ্রী। একের পর এক হোটেলে ঢুকে গিয়েছিল সাগরের ঘোলা কাদামাখা জল। আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছিলেন পর্যটকেরা। সেই সময়েই মন্দারমণির সৈকতে থাকা একটি বেসরকারি হোটেল মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সকলের চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল ঢেউয়ের ধাক্কায়। সেই ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও হোটেলটি কার্যত ধ্বংসাবশেষের রূপ নিয়েছিল। এখনও মন্দারমনির সৈকত ধরে হাঁটতে গেলে চোখে পড়ে প্রকৃতির সেই তান্ডবের সাক্ষীকে।

আরও পড়ুন ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি এবার বাংলার পুর এলাকাতেও

একটা বিশাল Structure কাত হয়ে পড়ে আছে বালির ওপর। আশি শতাংশ শেষ হলেও পুরোটা এখনও ভেঙে পড়েনি। বড় ভয়ঙ্কর লাগে তাকে দূর থেকে দেখতে। ভেঙে পড়া হোটেলের ঘরগুলোর দিকে, সমুদ্রের দিক থেকে তখন উত্তাল বাতাস নিয়ত ধাক্কা দেয় আজও। সেই হোটেল রোজ একটু একটু করে ভেঙে পড়ছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা সেই হোটেলের ধারে কাছে ঘেঁষেন না। পর্যটকদেরও দূর থেকেই তা দেখতে পরামর্শ দেন তাঁরা। এখনও যেটুকু বাকি আছে যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই হোটেলটি মন্দারমণির বুকে সব থেকে বড় বেসরকারি হোটেল ছিল। ভাড়ায় ছিল অনেক। হোটেলের মাঝে থাকা টাওয়ার ছিল পুরো কাঁচের তৈরি। কার্যত সেটি ছিল Honeymoon Suit। ‘যশ’র ধাক্কায় সেই সব পড়েছে মুখ থিবড়ে। হাজার চেষ্টাতেও সেদিন বাঁচানো যায়নি এই বেসরকারি হোটেল কাম রিসর্টকে। মাত্র আধ ঘণ্টাতেই নাকি সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। হোটেলের কাছে গেলে চোখে পড়বে হোটেলের মধ্যেকার সমস্ত Interior Design। দেখা যাবে ফলস সিলিং, আলমারি, দরজা, বাথরুম, সুইচ বোর্ড, ড্রেসিং টেবিল সব। বাড়িটার বিপদজনক অবস্থানের জন্যই হয়ত চুরি হয়ে যায়নি। আর তা দেখে আপনার মনে হতেই পারে,  একদিন এই হোটেলটারই কত প্রতিপত্তি ছিল, কত কোলাহল ছিল, মানুষ এখানে থাকলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্যাটাস দিত। কত মানুষ কত রাত কাটিয়েছে, কত সোহাগ, দুঃখ, হাসি, কান্নার সাক্ষী ওই ঘরগুলির প্রতিটা আসবাব। সারা দিন কত মানুষের আনাগোনা ছিল ওই হোটেলে। কিন্তু একদিনের এক ধাক্কায়, প্রকৃতির অমোঘ খেয়ালে সেই হোটেল আজ ধ্বংসস্তূপ। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও তাকাবার কেউ নেই। যে একদিন এ তল্লাটের অহংকার ছিল, আজ সে বড়ই তাচ্ছিল্যের। আসলে প্রকৃতি বড়ই নিষ্ঠুর, সব নীরবে খেয়াল করে যায়। কার ওপর কখন খাঁড়া নেমে আসবে তা কেউ জানে না, একদিনে কে ধূলিসাৎ হবে তার দেওয়াল লিখন কেবল ভবিষ্যৎই জানে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চন্দননগরে প্রচারে গিয়েও প্রসিদ্ধ ‘জলভরা সন্দেশ’ চাখা হল না রচনার, কেন?

ইভিএম বিভ্রাট নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

‘সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছিলাম, তবে বিজেপি এবার আর ক্ষমতায় আসবে না’

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

‘চাকরিখেকো রাম-বাম-শাম দেখেছেন’, পিংলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর