23ºc, Haze
Thursday, 23rd March, 2023 4:52 am
নিজস্ব প্রতিনিধি,ইলামবাজার :একদিকে ডেঙ্গু, অন্যদিকে প্রান্তীয় গ্রামাঞ্চলে রয়েছে সাপখোপের উপদ্রব। তা থেকে বাঁচতে অত্যন্ত জরুরি মশারী।
এই কথা মাথায় রেখে শান্তিনিকেতনের(Santinikatan) একদল অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষকরা মশারি বিতরণের উদ্যোগ নেন ৷ এদিন ইলামবাজারের চৌপাহাড়ী জঙ্গলমহল (Jangalmahal) এলাকায় খয়েরডাঙা, জাম্বুনি, আমখই প্রভৃতি গ্রামে শতাধিক মশারী ও মিষ্টি বিতরণ করেন তাঁরা মানুষজনের মধ্যে৷ শুধু মাত্র বিতরণ নয়, পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলির মানুষজকে সচেতন করা হয়৷ যাতে তারা মশারী ব্যবহার করে৷
প্রসঙ্গত, মশা থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুতে(Dengu) আক্রান্ত হতে হয় ।তার জন্যই প্রয়োজন আগাম সর্তকতা। গ্রামাঞ্চলে সাপের কামড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবছর। আবার অনেকের জীবন বেঁচে যায় ।প্রান্তীয় অঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে মশারী খাটিয়ে শোয়ার প্রবণতাও কম৷ তাই এই বিশেষ উদ্যোগ।
অধ্যাপিকা পুজা কর্মকার বলেন, “আমরা যে মশারি দান করছি তা নয়৷ আমাদের উদ্দেশ্য সচেতন করা। যাতে মশা ছাড়াও সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায় গ্রামের মানুষজন।”
গ্রামবাসীদের মধ্যে সরেন মুর্মু বলেন, “ইলামবাজারে(Ilambazar) চৌপাহাড়ী জঙ্গলে প্রায় ১৪ টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে এদিন ৩ টি গ্রামে মশারী দেওয়া হল৷ খুব ভালো উদ্যোগ৷ সামনে ধান পোতা হবে তখন প্রচণ্ড মশা হয়। এছাড়া সাপ, মাকড়সা তো আছে৷ তাই এটা একটা ভালো কাজ হল৷” ইলামবাজারের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামগুলিতে মাঝে মধ্যেই এই ধরনের উদ্যোগ ওই অধ্যাপক অধ্যাপিকা নিলে ভালোই হয় বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষজন।