এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বীরভূমের এই গ্রামে আজও হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে পুজো করে থাকেন! জানুন বিস্তারিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। যদিও কলকাতায় আজ থেকেই পুজো শুরু। দুর্গাপুজো মানেই, আমাদের প্রাণের শহর, প্রেমের শহর কলকাতা। এই সময়ে যে যেখানেই থাকুক না কেন, বাড়ি আসতেই হবে। প্রত্যেকটি বাঙালিদের জীবনে দুর্গাপুজো একটি বড় উৎসব। মাত্র ৪ দিনের জন্যে কত পরিকল্পনা থাকে মানুষের। নতুন নতুন পোশাক, নতুন নতুন সাজ, বাজারে কোন ব্র্যান্ডের চাহিদা তুঙ্গে, সেই নিয়ে পুজোর কয়েক মাস আগে থেকে বাঙালিদের পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। এই পুজোয় সঙ্গী কারা কারা হবে, কোন কোনদিন কোথায় কোথায় টহল দেবেন সবটাই এই কদিনের নিত্য সঙ্গী হয়ে যায় আমাদের। এই কয়দিন বাড়িতে রান্না প্রায় বন্ধই। এ তো গেল শহর কলকাতার কথা, কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু গ্রামের সংখ্যা নেহাত কম নেই। কখনো ভেবে দেখেছেন কি, পুজোর এই কটা দিন গ্রাম বাংলার মানুষ কি ভাবে পুজো উদযাপন করেন।

সাধারণত আমরা জেনে এসেছি, গ্রামবাংলায় দুর্গাপুজোর সংখ্যা নাম মাত্র। কারণ দুর্গাপুজো অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে গ্রামের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় এই পুজো করা সম্ভবপর নয়।তবে সম্প্রতি বীরভূমে (Birbhum Durga Puja) এমন একটি গ্রামের খোঁজ মিলেছে, যেখানে একটি-দুটি নয়, একসঙ্গে তিরিশটির বেশি দুর্গাপুজো হয়। কী অবাক হচ্ছেন তাইতো! তাদের মধ্যে কোনওটি মৃন্ময়ী প্রতিমা, কোনওটি আবার পটের। শোনা গিয়েছে, বর্গী আমল থেকে এই গ্রামে দুর্গা ঠাকুরকে বিভিন্ন রুপে পূজা করার রেওয়াজ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা দাবি সংখ্যাটা ৩০ থেকে ৩২ হবে। কিন্তু কথা হল, দুর্গাপুজো যেখানে এত ব্যয়বহুল সেই জায়গায় মাত্র চার হাজার জনবহুল নিয়ে এত বিপুলসংখ্যক দুর্গাপুজো কি করে হয়?

গ্রামটির নাম, নানুরের চারকল গ্রাম। যেটি বীরভূমের অজয় নগর নদের তীরে অবস্থিত। কয়েক হাজার বছর আগে অজয় নদের বালি জমতে জমতে এই গ্রামটির উৎপত্তি হয়েছে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসতে শুরু করে এবং বসবাস করতে শুরু করে। গ্রামের লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দুর্গাপুজোর সংখ্যা (Durga Puja)। আসলে, বর্গী আমল থেকেই মায়ের পুজো শুরু হলেও, সোনার মূর্তি চুরি হয়ে গেলে সেখানে মৃন্ময়ী মূর্তি রূপে মায়ের পুজো হয়ে আসছে। এই গ্রামে হিন্দু, তপশিলি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস।

সেখানকার এক বাসিন্দার কথায়, “চরের মধ্যে এই গ্রামটি জন্মানোর কারনে এই গ্রামের নাম চারকল। একসময় এখানে চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল। সেই সময় পূর্বপুরুষেরা এখানে একটি দুর্গা মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকেই বংশপরম্পরায় পুজো হয়ে আসছে।”এই গ্রামের প্রধান বৈশিষ্ট্য একসঙ্গে বসবাস করে এবং এই পুজো করে। এই গ্রাম হল ভারতবর্ষের মধ্যে সম্প্রীতির অন্যতম গ্রাম। এছাড়াও এই গ্রহনের দেবী কনকেশ্বরী মায়ের পুজোতেও সব ধর্মের মানুষকেই একত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তবে এই গ্রামে একসঙ্গে এত সংখ্যক দুর্গাপুজো (Bengal, Durga Puja) হওয়ার কারণ না জানা গেলেও, জানা গিয়েছে, ৫০০-৭০০ বছর আগে থেকে এই ভাবেই এই গ্রামে পুজো হয়ে আসছে। তাই এই রীতি এখনো বরাদ্দ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নির্বাচনের দিন দিনহাটার বাইরে যেতে পারবেন না উদয়ন গুহ, নির্দেশ কমিশনের

‘কে হরিদাস? সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখান’, চ্যালেঞ্জ মমতার

প্রার্থী অহলুওয়ালিয়ার সামনেই হাতাহাতি, আসানসোলে বিজেপির কর্মিসভায় হুলস্থুল কাণ্ড

মিঠুনকেও এবার ‘গদ্দার’ তকমা দিলেন মমতা

শুকনো নদীতে বাইক নিয়ে পারাপার, ব্রিজ তৈরির দাবি বাসিন্দাদের

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর