নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সপ্তাহে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আজ সেচমন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র। দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যে শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা ছড়াল রাজ্য রাজনীতিতে। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বিরুদ্ধে, পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের প্রতিবাদে ধিক্কার সভা ছিল। সেখানেই শুভেন্দুর ঘরওয়াপসি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন সেচমন্ত্রী। তিনি শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, ‘বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভছে কিছুদিনের মধ্যে। তিনি তৃণমূলে ভিড়তে পারেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু নিজেও ফিরে আসতে পারেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলার রায় বেরালে তিনি আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।’
রবিবার নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ধিক্কার সভায় হাজির ছিলেন একাধিক শীর্ষ নেতারা। তাদের সামনেই এই মন্তব্য করে জল্পনা বাড়িয়েছেন সেচমন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এটা নিছকই সেচমন্ত্রীর মস্করা সুলভ মন্তব্য। আদপে শুভেন্দুকে খোঁচা দিতেই এই বক্তব্য গুলি রেখেছেন সেচমন্ত্রী। এদিন ধিক্কার সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেন, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী , তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক জেলা সংগঠনের সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, সেখ সুফিয়ান সহ একাধিক নেতা কর্মী। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে ঘোষণা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম শহীদ দিবস উদযাপন করা হবে নন্দীগ্রামে।