নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়। যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির এই বিধানসভা এলাকা। কিন্তু ভোটের দিন শনিবার নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে সেই ভাঙড়ে দেখা মিলল না আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা একমাত্র বিধায়কের। আর এর ফলে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদের কিছুটা ম্রিয়মান দেখাল।
নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ের বিধায়ক হলেও আদতে তিনি হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফের বাসিন্দা। সেখানকার ভোটার নওশাদ। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় তিনি নিজের ভোট কেন্দ্রের বাইরে অর্থাৎ ভাঙড়ে যেতে পারেননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আরাবুল ইসলাম ও শওকত মোল্লার সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন তরুণ নেতা।
ভাঙড়ে তাঁর জনভিত্তি দেখে কপাল ভাঁজ পড়েছিল শওকত আরাবুলদের। তবে ভোটের দিন নওশাদ নিজের বিধানসভা এলাকায় না থাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা অ্যাডভান্টেজ কুড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেই সঙ্গে এদিন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা ‘প্রিয় ভাইজান’কে কাছে না পেয়ে মুষড়ে পড়েছেন। কিছুটা ম্রিয়মান দেখা গেল তাঁদেরকে।