নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতের আঁধারে লরিতে করে অসম থেকে গুজরাতে পাচার হচ্ছিল হাতি। কিন্তু সেই খবর পেয়ে মাঝপথেই তা আটকে দেয় বাংলার বনদফতরের আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে আটক করা হয় ৩-জনকে। আর নতুন করে পাওয়া খবর অনুযায়ী হাতিগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে অসম সরকার। গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে হাতি দুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অসমের ধূবড়িতে।
গরুমারা বন্যপ্রানী বিভাগের হাতে আটক হওয়া অরুনাচলের জোড়া হাতি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে অসম বন বিভাগ। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ির তিস্তা চেকপোস্টে হাতি দুটোকে আটক করেন জলপাইগুড়ি বন বিভাগের কর্মীরা। রাতেই হাতি দুটোকে গরুমারা বন্যপ্রানী বিভাগের হাতে তুলে দেন তারা। ঘটনায় মাহুত সহ চারজনকে আটক করে বন দফতর। আটক ব্যক্তিদের দাবি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েই অরুনাচল থেকে হাতি দুটোকে গুজরাট নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। যদিও হাতি দুটোকে পাচার করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন অসম বন বিভাগের আধিকারিকরা।
অভিযোগ ধুবড়ি চেকপোস্টে কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য আটক করা হলে কাগজপত্র না দেখিয়েই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। অসম বন বিভাগের তরফে রাজ্য বন বিভাগকে খবর দিলে জলপাইগুড়ির তিস্তা চেকপোস্টে হাতি দুটোকে আটক করেন বন কর্মীরা। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বন পাল রাজেন্দ্র জাখর জানান, অসম বন বিভাগের খবরের ভিত্তিতে হাতি দুটোকে আটক করা হয়। সোমবার বিকেলে আটক হাতি সহ চারজনকে অসম বন্যপ্রাণী বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালেই জানা যায়, রাজ্যের বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে লরিতে করে হাতি পাচার করা হচ্ছে। যে লরিতে করে তা পাচার করা হচ্ছে তা নাগাল্যান্ডের। সেই খবরের ভিত্তিতেই রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা সেতুর কাছে চেকপোস্টের কাছে টিম নিয়ে নাকা চেকিং শুরু করেন বনদফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। এরপর নির্দিষ্ট নম্বরের লরি আসতেই তা আটক করেন বনদফতরের কর্মীরা।